অভিযোগ না করে বিএনপিকে বাস্তবতা মেনে নেয়ার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

রাজনীতি

ডেস্ক রিপোর্ট :
বিএনপিকে গৎবাঁধা অভিযোগ ছেড়ে বাস্তবতা মেনে নেয়ার কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বেসরকারি সংস্থা ট্রমা লিংকের পঞ্চম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।

ঢাকা সিটি নির্বাচন বাতিল করার বিএনপির দাবির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমি বলব এই গৎবাঁধা কথাগুলো বাদ দিয়ে বাস্তবকে মেনে নেয়ার জন্য। একই সাথে ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতাও নির্বাচন নিয়ে ফতোয়া দেয়া শুরু করেছেন, যা যথার্থ নয়’, বলেন তিনি।

ইভিএম-এ যেভাবে ভোট হয়েছে, এর চেয়ে স্বচ্ছ ভালো ভোট বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে কখনো হয় নাই’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘ইভিএম প্রত্যেক দলের জন্য পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এখানে কারো ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতাও নির্বাচন নিয়ে ফতোয়া দেয়া শুরু করেছেন’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, আমাদের দেশে বিভিন্ন বিষয়ে কোনো কোনো মৌলানা যেভাবে ফতোয়া দেন, ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতাও নির্বাচন নিয়ে ফতোয়া শুরু করেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২৯ শতাংশ আর উত্তরে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেই ভোটের মধ্যে আমাদের প্রার্থিরা দ্বিগুণ ভোটে জয়লাভ করেছে। এখন এই লজ্জা ঢাকার জন্য তাদের নানা কথা বলতে হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেই কথাই বলছেন।

বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ভোট দেবার যোগ্য মানুষদের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়, আর তার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট পড়ে। অর্থাৎ মোট ভোট দেবার যোগ্য মানুষদের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট পড়ে।

বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার কারাবাসের দুই বছর হওয়ায় তার মুক্তির দাবিতে বিএনপির ডাকা সমাবেশ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আদালত ছাড়া তাকে মুক্তি দেয়ার এখতিয়ার সরকারের নেই। তারা বারবার সরকারের কাছে মুক্তির দাবি জানিয়ে আইন এবং আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন।

সমাবেশের অনুমতি মিলবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিচার বিশ্লেষণ করে অনুমতি দেবে কি দেবে না সিদ্ধান্ত নেবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে তাদের উদ্দেশ্য কি, সমাবেশ করা, না কি সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.