কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধি :
করোনার প্রার্দুরভাব বেড়ে যাওয়ায় অর্থমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় কুমিল্লার ৩ স্বাস্থ্য ক্লিনিকে স্থাপন হচ্ছে আইসিইউ।অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার নিজ নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। চলমান মহামারি করোনাকালীন দুর্যোগে এমন উদ্যোগে গ্রামীণ জনপদের মানুষ খুবই খুশি।
জানা যায়, অর্থমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় আবুল খায়ের গ্রুপের সহযোগিতায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও লালমাই উপজেলার বাগমারা ২০ শয্যা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে দু'টি করে আইসিইউ শয্যা স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আইসিইউ’র পাশাপাশি করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ক্লিনিক সমূহে প্রয়োজনীয় অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামও সরবরাহ করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বাগমারা ২০ শয্যা স্বাস্থ্য ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় দু'টি আইসিইউ শয্যা, দুটি হাইফ্লোনেজাল ক্যানেলা, তিনটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, একটি বাইপেপ ভেন্টিলেটর, একটি সিপেপ ভেন্টিলেটর, ১২টি সিলিন্ডার সংবলিত সেন্ট্রাল অক্সিজেন, ইসিজি ও এক্স-রে মেশিন, ১০টি অত্যাধুনিক পেশেন্ট মনিটর, একটি অটোক্লেভ মেশিন, একটি লেরিঙ্গোস্কোপ মেশিন, দু'টি বৈদ্যুতিক সাকার মেশিন ও ১০টি স্পেশাল শয্যা স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া করোনা আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালের নিজস্ব উদ্যোগে ১২ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। অন্য দুটি হাসপাতালেও আইউসিইউ স্থাপন ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। তিনটি হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের পর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি হাসপাতালে একযোগে আইসিইউ উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
আইসিইউ চালুর বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেবদাস দেব জানান, এখানে আইসিইউ শয্যা স্থাপনের কাজ চলমান। এখন চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল বলেন, করোনাকালীন উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এমন উদ্যোগের কারণে করোনা আক্রান্ত রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন।
এজন্য তিনি উপজেলাবাসীর পক্ষে অর্থমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।