বাহাদুর চৌধুরী :
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’র প্রভাবে ভোলায় সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এক হাজার ১০৪টি সাইক্লোন সেল্টার খুলে দেয়ার পাশাপাশি ৯২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
১৮ মে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় সকর্তামূলক প্রচার চালাচ্ছে সিপিপি সদস্যরা। ভোলার বিচ্ছিন্ন চর ও নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভোলার ২১ চরের তিন লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এসব মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে সহায়তা করবে নৌ বাহিনী, নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ ও কোস্টগার্ড। একইসঙ্গে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত ৪০০টিসহ মোট এক হাজার ১০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে সবাইকে সতর্ক করার পাশাপাশি নিরাপদে আসতে সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টের ১০ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং শুরু করেছে। এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষদের জন্য তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা ছাড়াও নগদ টাকা, শুকনো খাবার ও শিশু খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে, ঘূর্ণিঝড়কালে ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী এ তিনটি ধাপেই কাজ করার জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শেষ খবর পাওয়া প্রযর্ন্ত আমাদের প্রতিনিদিরা
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছেন,