আল্লাহপাক স্বয়ং পবিত্র কোরআনের হেফাজতকারী

ধর্ম

জি এম জাহিদ হোসেন টিপু :
আল কোরআন একটি বিস্ময়কর গ্রন্থ ৷ মহান আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর উপর অবর্তীর্ণ হয়েছে পবিত্র কোরআন ৷ পবিত্র কোরআনের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো এই গ্রন্থ ২ বার নাজিল হয়েছে ৷ প্রথমে পুরো কোরআনের আয়াত আসমানের “বায়তুল ইজ্জতে ” নাজিল হয়েছে ৷ দ্বীতিয় পর্যায়ে ৬১০খৃষ্টাব্দ থেকে ৬৩২ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত ২৩ বছর ধরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে , যুগের জিজ্ঞাসার জবাবে জীব্রাইল (আঃ) এর মাধ্যমে নবী মোহাম্মদ(সঃ) এর কাছে এসেছে ৷ আল্লাহপাকের ইশারায় কুদরতি নিয়মে হাজার বছর ধরে অত্যন্ত বিস্ময়কর প্রকৃয়ায় এই মহা গ্রন্থকে সংরক্ষনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে ৷ লিখে রাখার পাশাপাশি হাজার বছর ধরে হ্নদয় থেকে হ্নদয়ে মুখস্তের মাধ্যমে এই গ্রন্থকে সংরক্ষন করা হয়েছে ৷ নবী করিম (সঃ) সময় সাহাবা থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ হাফেজ কোরআন কে মুখস্তের মাধ্যমে সংরক্ষন করে আছে যা কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ৷ আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন ” বালহুয়া কোরআনুল মাজিদ ফি লাওহিম মাহফুজ ” অর্থাৎ আমি পরিত্র কোরআনকে “লাওহে মাহফুজে” সংরক্ষন করে রেখেছি , যার হেফাজতকারী আমি নিজে ৷ কিন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক ফয়দা লুটার জন্য যারা কোরআনের হেফাজতকারী, ধারক, বাহক সাজতে চায় তারা অতিরিক্ত ঈমানী শক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে গিয়ে ফেৎনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করছে ৷ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইসলামের দাওয়ত পৌছানো প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য ৷ তারপরেও যদি কোন ভিন্নধর্মাবলম্বী ইসলামের ছায়াতলে না আসে তারজন্যতো জাহান্নাম অবধারিত ৷ কোরআনে আছে “লাকুমদ্বীনউকুম ওয়ালীয়া দ্বীন “৷ যার যার ধর্ম পালনের অধীকার সয়ং আল্লাহ দিয়েছেন ৷ ভীন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাশনালয় ভাঙ্গার অধীকার ইসলাম দেয়নি ৷ তাহলে আপনি করছেন কেন ? বেহেস্তে যাওয়ার আশায় ? নাকি ক্ষমতায় যাওয়ার আসায় ? কুমিল্লায় প্রতিমার পায়ের নীচে যে বা যাহারা কোরআনকে রাখুকনা কেন তা প্রত্যেক মুসলমানের হ্নদয়ে রক্তক্ষরন হয়েছে ৷ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য যে ব্যাক্তি বা গোষ্ঠি পবিত্র কোরআনকে এভাবে অবমাননা করবে সে যদি মুসলমান হয় তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত আর যদি কোন হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রতীমার পায়ের নীচে কোরআন রাখলেও জাহান্নামী না রাখলেও জাহান্নামী ৷ তবে সরকারের দায়ীত্ব প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা এবং তা সকল মুসলমানের তা প্রাণের দাবী ৷ অপরাধীর বিচার চেয়ে সকলকে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি বজায় রাখার উদাত্ত আহবান করছি ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published.