বিশেষ প্রতিনিধি :
আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ শাহ আলম,সভায় যে সকল এজেন্ডা ছিল এর মধ্যে সদস্য বহিস্কার,একই নামে কতিথ ক্লাব ও তার হোতাদের প্রতিহত,মাসিক চাঁদা প্রদান ও বিবিধ আলোচনা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে ছিলেন,কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য আশা চৌধুরী,আব্দুর রশিদ,নুরে আলম জিকু,সেলিম মিয়া,রিপন মিয়া.শাকিল আহমেদ, বাবুল আহমেদ,নাসিম খান ও আল শাহরিয়ার খান বাবুল। সাধারন সদস্যদের মধ্যে ইব্রাহিম খলিল,সফিকুল ইসলাম,নুর হোসেন, কামাল হোসেন,মাসুরানা,রুহুল আমিন,ফারুক হোসেন,ও আলমগীর হোসেন নিরব,সাইদুর রহমান,মনির হোসেন প্রমুখ। সাধারন সভায় গঠনতন্ত্রের ৭,ও ১৩ এর ধারা মোতাবেক ৫ সদস্য কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ২ সদস্য ১, মঈনুল ইসলাম,২ জামাল হোসেন মুকুলকে চুড়ান্ত ভাবে বহিস্কার এর সিদ্ধান্ত ও সদস্যপদ বাতিলের পক্ষে সদস্যরা একমত পোষন করেছেন।কারন তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনের ফৌজদারী অপরাধের প্রাথমিক ভাবে সত্য প্রমানিত হয়েছে।তারা ১৬৪ ধারায় কোর্টে ও জবান বন্দি দিয়ে স্বীকার গেছেন। এছাড়া আমাদের কাছে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ব্যাপক সত্যতা প্রমান পাওয়া গেছে।অন্যদিকে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের পুর্ব মুহুতে সাবেক সেক্রেটারী কামাল হোসেন এর প্রস্তাবে তথ্য গোপন করে ৩টি মেয়েকে সদস্য করার জন্য আবেদন করেন। তাদের ভর্তি ফ্রি ও মাসিক এককালীন অর্থ ক্যাশে জমা দেওয়া হয়নি ও ক্যাশ রশিদ নেয়নি। কিন্তু মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাদের নাম ভোটার লিষ্টে দিয়ে ভোটার করা হয়েছে।নির্বাচনের পর সাবেক ক্যাশিয়ার হিসাব দেওয়ার সময় তাদের ভর্তি সংক্রান্ত কোন টাকা দেখাতে পারেনি।এদের একজন নাসরিন আক্তার নদী সে ও তার পরিবারের সদস্যরা মাদক ও ইয়াবা সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা রয়েছে সে জেলেও ছিলেন। সে জন্য নীতিগত ভাবে মাদকের সাথে জড়িত কাউকে রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য করা যায়না।এ সকল ঘটনা জানার পর ও সাবেক সেক্রেটারী কামাল হোসেন এই ৩ জন নারী সদস্যকে নেওয়ার জন্য সাধারন সভায় বার বার প্রস্তাব আনেন। এনিয়ে আমাদের কমিটির মিটিংয়ে তাদের নিয়ে একাধিকবার কথা হয়েছে। তারা গঠনতন্ত্র মোতাবেক ও সংগঠনের নিয়মনীতি মালা অনুযায়ী ক্লাবের সদস্য হয় নাই।এনিয়ে চুড়ান্ত ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা ক্লাবের সদস্য না জাল জায়িাতের মাধ্যমে তারা ভোট দিয়েছে। এই জালিয়াতির সাথে কেউ জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সংগঠণের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে কথিত সাংবাদিক নামধারী হান্নানকে প্রতিহত করতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে ঐক্যমত হয়েছেন।আর যে সকল সদস্য ক্লাবের মাসিক চাঁদা এখনও পরিশোধ করেনি তাদের চাঁদা পরিশোধের আহবান জানান হয়।এছাড়া যে সকল সদস্য সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ক্লাবের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ক্লাবের স্বার্থ বিরোধি কাজে লিপ্ত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন ব্যবস্থা নেওয়া যাবেনা তার কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।