আশুলিয়া প্রতিনিধি :
ঢাকার আশুলিয়ার মাইঝাল এলাকার হান্নানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জানা যায় হান্নান নিজেকে ঢাকার "আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে"র সভাপতি পরিচয় দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কারনে তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এলাকার সুত্রে জানা যায়, দেশে করোনা ভাইরাসের মহামারি নিয়ে মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে সঙ্কটের মধ্যে ঠিক সে সময় মাইঝালের হান্নান সাংবাদিক সংগঠনের সভাপতি পরিচয় দিয়ে ত্রাণের নামে চাঁদাবাজী করছেন। এনিয়ে একাধিক লোক আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে অভিযোগ দিয়েছেন। এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, হান্নান মাইঝাল এলাকায় বিএনপির রাজনীতি করেন। আবার সে নিজেকে সাংবাদিকদের সভাপতি ভুয়া পরিচয় দিয়ে আমার কাছে ত্রাণ দেওয়ার জন্য টাকা দাবী করেন। আমি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখি সে অপসাংবাদিক।
ধামসোনা ইউনিয়নের এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, হান্নান তাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন তার এলাকায় ত্রাণ দিবে সে জন্য তাকে টাকা দিতে বলেন। টাকা না দিলে নানা ভাবে হয়রানীর কথা বলেন। তিনি বলেন আমি হাসেম প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি থাকার সময় হান্নান জুতার দোকান করতে দেখেছি।এখন সে কিভাবে হঠাৎ সাংবাদিকদের সংগঠনের সভাপতি দাবী করেন। তার কোন সংবাদ আজ পর্যন্ত প্রকাশ হতে আমরা দেখি নাই। অথচ সে সাংবাদিকদের সভাপতি পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজী করছে এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কাশিমপুর থানা এলাকার মনির হোসেন নামে এক প্রতিবন্ধিকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে লাখ টাকা ত্রাণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তার ছবি ও আবেদন ভিডিও করে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এই হান্নান। এব্যাপারে কাশিমপুর থানায় হান্নানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এছাড়া ত্রাণের নামে শ্রীপুর কাচাঁ বাজার থেকে চাঁদা তুলে আত্মসাৎ করেছেন এ হান্নান। সে মৌজার মেইল এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে গিয়ে নিজেকে সাংবাদিকদের সভাপতি পরিচয় দিয়ে মিটারের দালালী করেন। তার মিটার এর কাজ না করলে অফিস ষ্টাফদের নানা ভাবে হুমকি দেয়।এবং তাদের চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার ভয় দেখায়।
জোনাল অফিসের এজিএম বলেন, হান্নান প্রায় সময় অফিসে এসে সে সাংবাদিকদের সভাপতি পরিচয় দিয়ে অনৈতিক ভাবে সুবিধা নেয়।ঘোড়াপীর মাজার এলাকায় ভূমি তহশীল অফিসের সহকারী কর্মকর্তা বলেন, হান্নানের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। সে প্রায় সময় আমাদের অফিসে এসে নিজেকে সাংবাদিকদের সভাপতি পরিচয় দিয়ে জমি খারিজের তদবীর করেন। তার অনৈতিক তদবীর না মানলে সে নানা হুমকি দেয়। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়,ভুয়া সভাপতি হান্নান এক সময় সিঙ্গাপুরে আদম পাচার করতেন।বহু লোককে সিঙ্গাপুর নেওয়ার কথা বলে তাদের টাকা নিজে আত্মসাৎ করেন।এ নিয়ে লোকজন তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে জুতা পেটা করে জেল হাজতে পাঠায়।এখনও বিদেশে নেওয়ার জন্য যে সকল লোকের টাকা মেরেছে তারা তাকে ফেলে জুতা পেটা করবে।কতিথ সাংবাদিক নামধারী হান্নানের চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থান নেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী। সাভার চ্যানেল আই এর প্রতিনিধি জাকির হোসেন বলেন, হান্নান একটা বাটপার সে কি ভাবে সাংবাদিক পরিচয় দেয় বুজিনা । তিনি প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। আশুলিয়া এলাকায় ভুয়া সভাপতি নামধারী হান্নানের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক অভিযোগ করা আছে। জানা যায় এই কথিত সাংবাদিক হান্নান চাঁদাবাজীর কৌশল হিসেবে নতুন ভাবে রোজার ঈদকে সামনে রেখে শুভেচ্ছা সম্ভলিত ঈদ কার্ডের মাধ্যমে আবারও চাঁদা বাজির পাঁয়তারা করে চলছে,সাভার-আশুলিয়ার পেশাদার সাংবাদিকরা জানান হান্নান মূলত কোন সাংবাদিক নয়,সে কোন এক পন্হায় একটি প্রেস আইডি কার্ড গলায় জুলিয়ে নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক এবং আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি পরিচয় দিয়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে, সে কোন সংবাদ তৈরী করতে ও লিখতে পারেনা। তার কোন সংগঠন নেই। আশুলিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে ভুয়া প্রতারক হিসাবে চিনে। হান্নান চৌধুরী যদি কোথাও সভাপতি পরিচয় দেয় তাহলে তাকে আশুলিয়া থানা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সকলের অবগতি করেন আশুলিয়ার সাংবাদিকগণ।