Doinik Bangla Khobor

আশুলিয়ায় কঠোর লকডাউন জলকুটির বিনোদন কেন্দ্র খোলা

বিশেষ প্রতিনিধি :
করোনা সংক্রমনের চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দেশজুড়ে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ।
এ বিধিনিষেধের প্রথম দিনে আশুলিয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতা সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার মালিকানাধীন জলকুটির খোলা রেখেছে।
জলকুটির খোলা রাখার কারণে এখানে শত শত মানুষ বিনোদনের জন্য ভীর করছে। ফলে এ এলাকার বিপুল পরিমাণ মানুষের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপির রাঙ্গামাটি এলাকায় গিয়ে এ দেখা যায় চিত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, কঠোর বিধি নিষেধের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন খাঁনের মালিকানাধীন গাঙচিল নামের জলকুটির খোলা রেখেছেন। তবে তিনি ওই জলকুটিরের নাম দিয়েছেন গাঙচিল ফাস্টফুড এন্ড রেস্টুরেন্ট। ফাস্টফুড ও রেস্টুরেন্ট নাম লেখা থাকলেও মুলত এটি হচ্ছে জলকুটির।
যেখানে এক সাথে বসে লোকজন সময় পার করেন। এই জলকুটির খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে এখানে এ অঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকার বিপুল পরিমাণ লোকজন এখানে আসতে শুরু করে। সেই সাথে আশপাশের এলাকা থেকেও শত শত লোকজন এখানে জরো হয়েছে। কেউবা জলকুৃটিরে বসে ফাস্টফুড আইটেম অর্ডার দিয়ে বসে গল্প করছেন। গাদাগাদি করে মানুষজন ঢুকছেন আবার বের হচ্ছেন। ফলে এখানে আগতদের করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি রয়েছে। এখানে আগত দর্শনার্থীদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক ছিল না। ছিল না সামাজিক দূরত্ব। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে মানুষজন চলাচল করছে।

বাইদগাঁও এলাকা থেকে এখানে শিশু বাচ্চা নিয়ে বেড়াতে এসেছে অঞ্জনা বেগম নামের এক নারী। তিনি জানান, ঈদের মধ্যে আমরাতো আর দূরে কোথাও যেতে পারি না। এই জলকুটির আমাদের বাড়ি থেকে কাছে হওয়ার কারণে এখানে এসেছি। করোনার ঝুঁকিতো রয়েছে। কিন্তু এরপরও এসেছি।

মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক প্রতিদিন পড়ি,কিন্তু আজ ভুলে গেছি।

জিরানী এলাকা থেকে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া ফরহাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান, মেয়েকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি এখানে শত শত মানুষ গাদাগাদি করে চলাচল করছে। অধিকাংশরই মুখে মাস্ক নেই। তাই বাধ্য হয়েই মেয়েকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছি।

এব্যাপারে গাঙচিল জলকুটিরের মালিক শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান জানান, ‘‘আপনি ফোন দেওয়ার পনের মিনিট আগেই বন্ধ করে দিয়েছি। আমি কেবল স্ট্যান্ডে আসছি, বন্ধ করে দিছি, চলব না।’’

এব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজাহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। যতদ্রত সম্ভব তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।