মামলা তদন্তে বাদীর নিকট ঘুষ চাওয়া গালিগালাজ,হয়রানি সহ একাধিক অভিযোগ
মাহবুব আলম মানিক :
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক
(এস আই ) নূর মোহাম্মদ খানের অসদাচরণে সাভার ও আশুলিয়ায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছ। জানা যায়, তিনি আশুলিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে প্রায় সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন এবং কথায়- কথায় আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতার পিএইচডি করে আসছি আমারে সাংবাদিকতা শিখাইতে হইবো না আমি সব বুঝি! তাঁর এমন উগ্রমেজাজী কথাবার্তা ও অসাদচারণের শিকার হয়েছেন সাংবাদিক সহ আরও অনেকেই।
তথ্য সূত্রে ও একজন ভুক্তভোগীর বক্তব্যে জানা যায়, বিগত কয়েকমাস পূর্বে মোঃ সোনা মিয়া পিতা, মোঃ কোশুরউদ্দীন নামের এক ব্যাক্তি দালাল চক্রের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে বিদেশে গেলে (সৌদি আরব) প্রতারণার শিকার হয়ে ১ মাস ১৪ দিন পরে বাংলাদেশে ফেরৎ আসেন। তার-ই ধারাবাহিকতায় প্রতারণার শিকার সোনা মিয়া প্রতারকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তার তদন্ত ভার পান এস আই নূর মোহাম্মদ খান। উক্ত অভিযোগ খুব দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন বলে নূর খান পরদিন অভিযোগকারী সোনা মিয়াকে থানায় আসতে বলেন, তার কথামতো সোনা মিয়া থানায় এসে সারাদিন বসে থাকার পর ফোন ধরেননি তিনি পরে নানান অযুহাত দেখিয়ে আবারও পরদিন আসতে বলেন এবং সেদিনও আসছি -আসছি বলে সোনা মিয়াকে রাত ১টা পর্যন্ত বসিয়ে রেখে বাসায় চলে যেতে বলেন।
এভাবে টানা কয়েকদিন অভিযোগকারী সোনা মিয়াকে হয়রানি করার পর হঠাৎ একদিন রাত ১০ টা বাজে থানায় ডেকে অভিযুক্তদের বাড়ি দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে পুলিশের পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যান সোনা মিয়াকে। কিছুদূর গিয়ে নূর খানের সাথে ডিউটিতে থাকা কনেস্টবল মতিউর'র মাধ্যমে তদন্তের নামে ৫ হাজার টাকা চেয়ে বসেন, তার কাছে টাকা না থাকায় অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন মতিউর সহ বেশ কয়েকজন কনেস্টবল।
এসময় এস আই নূর খান গাড়ির সামনেই বসে ছিলেন বলে জানান ভুক্তভোগী সোনা মিয়া।
তাৎক্ষনিক সোনা মিয়া তার দূর সম্পর্কের ভাই একজন স্থানীয় সাংবাদিককে ঘটনার বিষয় খুলে বললে তার উপরে আরও ক্ষিপ্ত হোন নুর খাঁন এবং ওই সাংবাদিকের সাথে একই আচরণ করে বলেন সাংবাদিক হয়েছেন তো কি হয়েছে আমিও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতার উপর পিএইচডি করেছি এসব ঠাপানোর সময় নেই আমার, তবে পর্বতীতে ওই সাংবাদিককে ফোন করে বিষয় টি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
সর্বশেষ গত ২১শে নভেম্বর রিয়া নামের একজন এইচ এস সি পরিক্ষার্থীকে তার প্রেমিক বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলার দাবিতে মৃতের পরিবার ও স্বজনরা লাশ নিয়ে আশুলিয়া থানার সামনে অবস্থান করলে এস আই নূর খান এম্বুলেন্স চালক ও মৃতের পরিবার সহ স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করেন বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন এবং সংবাদ কর্মীরা। জানা গেছে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা এবং মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়ায় এস আই নূর মোহাম্মদ খান রেগে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন,
চারতলা ভবনের ছাঁদ থেকে ওই মেয়েটা পড়ে মারা গেছে। আমি তদন্ত করছি সিসিটিভি ফুটেজ নিয়া আসছি। সাংবাদিকরা ১৪ বছরেও পারবো এটা কালেক্ট করতে। আমি সাংবাদিকতায় পিএইচডি করেছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থাইকা আমি তো সাংবাদিকগো তথ্য দেই না। তার এমন অসদাচরণের ঘটনার পর পরেই সমালোচনার ঝড় উঠে সোস্যাল মিডিয়ায় এবং অনলাইনে পোর্টাল, জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ টেলিভিশন চ্যানেলে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয় বিরুদ্ধে। শুধু সাংবাদিক-ই নয় নূর খানের এমন অসদাচরণে এখন ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন ও সাংবাদিক মহল।
এস আই নূর মোহাম্মদ খানের এমন অসদাচরণের বিষয়টি আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামানকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন। এস আই নূর খাঁন বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে আরো বিস্তারিত ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে।