রফিকুল ইসলাম :
মরহুম এনায়েত উল্লাহ এফসিএ একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আমি বড় আশা করে তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করেছিলাম। তিনি অত্যন্ত ভালোভাবে কাজ করতেন। তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে তিনি পালন করার চেষ্টা করতেন। তিনি সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন। বলেছেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মরহুম এনায়েত উল্লাহ এফসিএ'র জানাযার নামাজের পূর্বে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরও বলেন, তার মৃত্যুর খবর শুনে আমার খুব কষ্ট লেগেছে। তিনি যখন অসুস্থ হলেন, আমি তাকে ঢাকা আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছি। কয়েকবার ফোনে তার সাথে কথাও হয়েছে। তিনি এভাবে মারা যাবেন তা কখনো ভাবিনি।
মন্ত্রী বলেন, মরহুম এনায়েত উল্লাহর মৃত্যুতে আমি একজন বিশ্বস্থ সহচরকে হারালাম। আমি মরহুমের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোক সস্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর কাছে প্রার্থনা করছি হে মহান রাব্বুল আলামিন আপনি এনায়েত উল্লাহকে জান্নাতবাসী করুন।
সোমবার সকালে লাকসাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত মরহুম এনায়েত উল্লাহ এফসিএ'র দ্বিতীয় জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি লাকসাম উপজেলার হামিরাবাগ এলাকায় তৃতীয় জানাযার নামাজ শেষে তাকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মরহুম এনায়েত উল্লাহ রোববার দুপুরে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ঢাকা আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। রোববার মরহুমের প্রথম জানাযার নামাজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
লাকসাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা, লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম সাইফুল আলম, লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুছ ভুঁইয়া, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মনোহরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, লাকসাম পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো: আবুল খায়ের, কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার আসাদুজ্জামান, লাকসাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, মনোহরগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: আমিরুল ইসলাম, লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হীরা, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাসার মজুমদার, লাকসাম থানার ওসি নিজাম উদ্দিন, মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন, লাকসাম পৌরসভা কাউন্সিলর বাহা উদ্দিন বাহার, আবদুল আলীম দিদার, চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, মো: জিয়াউর রহমান শাহীন জিয়া, নীলকান্ত সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু জামাল খাঁন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সেলিম কাদের চৌধুরী, লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, সহ লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা এবং পৌরসভা আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণ। পরে মরহুমের কফিনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।