বিশেষ প্রতিনিধি :
কক্সবাজার টেকনাফে পবিত্র ঈদের দিনে শীর্ষ মানব পাচারকারী আবদুল আলী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় বিএমএসএফ নেতা ও উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম (উখিয়া-টেকনাফ) এর সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসানের ওপর হামলা করে শারীরিক ভাবে আহত,লাঞ্ছিত এবং গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে গত দুদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভৃক্ত শীর্ষ মাদক কারবারী জামাল মেম্বারের ছেলে শাহ আজম বিএমএসএফ টেকনাফ শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রাসেলকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেছে। এছাড়া টেকনাফের সাবেক এমপি বদি কর্তৃক চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিক খান মাহমুদ আইউবকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বিএমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টি চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর, কেন্দ্রীয় সভাপতি সোহেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য টেকনাফ মডেল থানা ও বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরতদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ চলাকালে ও বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যমের এই দিনে সংবাদ প্রকাশের কারণে ওখানকার রাষ্ট্রীয় অপরাধীরা সাংবাদিকদেরকে মারধর, গাড়ি ভাঙ্চুর,লাঞ্ছিত হুমকি,অপহরণের হুমকির ঘটনা রীতিমত উদ্বেগের। এদের একজন শীর্ষ মানব পাচারকারী অপরজন মাদক কারবারী এবং অন্যজন জনপ্রতিনিধি খ্যাত। এসব চিহ্নিত অপরাধীদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক; অন্যথায় সাংবাদিকরা বিচার দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন।