মতিন খন্দকার টিটু :
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে রোগী ও চিকিৎসক সংকটে পড়েছে বগুড়ার অধিকাংশ বেসরকারি ক্লিনিকগুলো। এতে করে ক্লিনিকগুলোর সাথে জড়িত প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছেন না মালিকপক্ষ। অনেকে এপ্রিলের আংশিক দিতে পারলে মে মাসে বেতন দিতে পারবেন না বলে কর্মচারীদেরকে জানিয়েও দিয়েছেন।
রোগী সংকট হওয়ার ব্যাপারে চিকিৎসক এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য। চিকিৎসকগণ বলছেন যানবাহন বন্ধ থাকায় রোগী ক্লিনিকে আসতে পারছেন না। আর তাই তারাও ক্লিনিকে যাচ্ছেন না। অন্যদিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বলছেন করোনা আতংকে চিকিৎসক ক্লিনিকে রোগী দেখা বন্ধ করে দেয়ায় তারা এই সংকটে পড়েছেন।
জানা গেছে, বগুড়া জেলায় ১২৫টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে ৮০টিই রয়েছে বগুড়া শহরে। ৮০টি ক্লিনিকের মধ্যে বর্তমানে ৮-১০টি ক্লিনিকে অল্প সংখ্যক রোগী ভর্তি আছে। । অন্যগুলো একেবারেই রোগী শূন্য। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোরও একই অবস্থা। চিকিৎসক না থাকায় প্যাথলজিতে পরীক্ষা নিরীক্ষা নেই বললেই চলে। বেশ কয়েকজন ক্লিনিক মালিক বলেন সিভিল সার্জন অফিস থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী রোগী না থাকলেও ক্লিনিক খুলে রাখা বাধ্যতামূলক।
ক্লিনিক খোলা রেখে অনেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনও দিতে পারছেন না। এরই মধ্যে চিকিৎসক ও রোগী সংকটে শহরের কানছগাড়ি এলাকায় পপুলার জেনারেল হসপিটাল নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিক বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বগুড়া শহরের ফাতেমা জেনারেল ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুনুর রশীদ জানান, প্রতি মাসে কর্মচারী বেতন ও বাসা ভাড়া বাবদ তার খরচ রয়েছে দুই লাখ টাকার বেশি। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী মাসে কর্মচারীদের বেতন দিতে পারবেন না।