হালিম সৈকত, কুমিল্লা থেকে :
তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের প্রবাসী নূর মোহাম্মদ সৌদি আরব থেকে দেশে এসেছেন প্রায় ৮ মাস হতে চলল। সৌদিআরব আর না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আত্মীয় স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশী সকলের দাবী আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাকে প্রার্থী হতে হবে। কিন্তু নুর মোহাম্মদ হা না কিছুই বলেন নি।
এই কথা শুনে একদল দূর্বৃত্ত গতকাল রাত ১ টার দিকে নুর মোহাম্মদ (৪৫) ও তার মা পেয়ারা বেগমের (৬০) উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে পেয়ারা বেগম ও নুর মোহাম্মদ মারাত্মক আহত হন। নূর মোহাম্মদ এর দুই হাত ও কাঁধে কোপ পড়ায় ৫০ টি সেলাই লেগেছে।
এই বিষয়ে নুর মোহাম্মদ জানান, আমার কোন শত্রু নেই। কারো সাথে আমার কোন ঝগড়া হয়নি কিংবা লেনদেন নেই। ঠিক কি কারণে আমার প্রাণনাশের চেষ্টা বলতে পারছি না। তবে সকলে আমাকে মেম্বার ইলেকশন করতে বলায়, হয়ত প্রতিপক্ষ গ্রুপ হামলা করতে পারে।
পেয়ারা বেগম বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক ১ টার দিকে কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে ৪/৫ জন লোক আমার ছেলে নুর মোহাম্মদকে খুজতে থাকে। আমি বললাম আপনারা কে? তারা বলল, কোন কথা বলবি না। না হয় তোকে মেরে ফেলব।
এই বলে আমাকে ২ টি কোপ মারে। আমার চিৎকার শুনে আমার ছেলে নুর মোহাম্মদ রুম থেকে বের হয়ে আসলে তাকে রাম দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপাতে থাকে। পরে আমার ছেলে কোন রকমে রুমের ভিতর গিয়ে সিটকিনি লাগিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।
বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আশেপাশের লোকজন ও প্রতিবেশীরা জানান নুর মোহাম্মদরা তিন ভাই। সকলেই বেশ ভালো। তাদের মত মানুষই হয় না।
জানা যায়, যারা হামলা করেছে তাদের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রত্যেকের হাতে রাম দা ছিল। গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে বাড়ি হওয়ায় আশেপাশের লোকজন আসতে আসতে সন্ত্রাসীরা নৌকা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ডাকাতির উদ্দেশ্যে আসেনি এটা নিশ্চিত। কারণ ঘর থেকে ১ টাকার মালও খোয়া যায় নি। ডাকাতির উদ্দেশ্যে আসলে অবশ্যই কোন না কোন জিনিসপত্র নিতই। কিন্তু হামলাকারীরা হামলা করেই তরিৎ চলে যায়। এতেই প্রমাণিত হয় তাদের উদ্দেশ্য ছিল নুর মোহাম্মদকে হত্যা করা।
আহত নুর মোহাম্মদ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বাড়িতে আছে। এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।