সহিদুল ইসলাম সাকিব :
বিপুল পরিমাণ মদ, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- ২৩০ পিচ ফেনসিডিল, ৩৯ পিচ বিদেশি মদ, ২৮ কেজি গাজাসহ ৪ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করা হয়। চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কায়সার হামিদ, এসআই মোঃ মফিজুল ইসলাম মফিজ, এএসআই মোঃ আরমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাপ্তান বাজার এলাকা থেকে দুই জন মাদক ব্যবসায়ী ও অরন্যপুর এলাকা থেকে দুইজন কে আটক করা হয়েছে। আটকৃতরা হলো : কুমিল্লা মহানগরীর টিক্কাচর এলাকার মৃত নুর হোসেনের পুত্র মোঃ রাজন (৩৫), একই এলাকার আরব আলীর পুত্র মোঃ নুর উদ্দিন ( ২৮), সদরের পূর্ব ঝাকুনীপাড়া এলাকার বিদ্যুৎ ঘোষের পুত্র সুকেন ঘোষ (৩৫), নগরীর সংরাইশ এলাকার মৃত সামছুউদ্দিনের পুত্র রোমান হোসেন (২৭) কে আটক করা হয়।
চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কায়সার হামিদ সংবাদদাতা সহিদুল ইসলাম সাকিব কে জানান- কুমিল্লা সদর উপজেলার অরন্যপুর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গাঁজা, ফেনসিডিল এবং বিদেশি মদ সহ দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করতে সক্ষম হই, তাঁরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রুপ নিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, একেক সময় একেক কৌশল পাল্টিয়ে আমাদের চোখের আড়াল হতে বিভিন্ন স্থানে মাদক পাচার করার চেষ্টা চালায়, চোর যতই চালাক হউক আমাদের কাছ থেকে পালানোর সুযোগ নেই, মাদকের সঙ্গে কোন আপোষ নেই, যেখানেই মাদক সেখানেই পুলিশের হানা চলবে। কোন মাদক ব্যবসায়ী কে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন- পূর্বে কোতয়ালী মডেল থানা বিভিন্ন এসআই মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকসহ আটক করেছে, তাঁরা টাকার বিনিময়ে কয়েকদিন পরই জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদকে আসক্ত হয়ে যায়। আমি চকবাজার ফাঁড়িতে আসার আগেও মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়েছিলো। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মোঃ মফিজুল ইসলাম মফিজ সংবাদদাতা সহিদুল ইসলাম সাকিব বলেন- মাদকের সঙ্গে কোন আপোষ নেই, আমি এবং এএসআই আরমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাপ্তান বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুই মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করতে সক্ষম হই, প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের আটক করে জেল হাজতে পেরন করি কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীরা কয়েকদিনের মধ্যেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জামিনে বের হয়ে এসে পূণরায় আবারও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে যায়। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী কে কখনোই ছাড় দেওয়া হবে না, যেখানেই মাদক সেখানেই পুলিশের হানা চলবে। কেউ মাদকের পক্ষে কথা বললে তাঁকেও জেল হাজতে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন – মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠানো হবে।