আব্দুস সালাম বাপ্পী :
বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সু-সজ্জিত কুমিল্লা পথ-ঘাট। লাল-নীল মরিচা বাতি,অভিনন্দন জানানো পোষ্টার ব্যানারে ফেস্টুন,প্লাটুনে ছেয়ে গেছে প্রতিটি অলি-গলি। মুজিব আদর্শকে আজীবন ব্যক্তি জীবনের ফ্রেমে বেঁধে রাখতেই এ দিনটিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে মুজিব আদর্শের অনুসারী সৈনিকেরা। পুরো কুমিল্লা-১০ নির্বাচনী এলাকায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। “মুজিবশতবর্ষ আনন্দমেলা” এই দিনটিকে বরণ করতে প্রস্তুত কুমিল্লা বাসি। কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের সম্মিলিত অংশগ্রহণে ২৫ জানুয়ারি শনিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হতে যাচ্ছে ‘মুজিবশতবর্ষ আনন্দমেলা’। ‘মুজিবশতবর্ষ আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানটি কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারার জামতলীতে উদ্বোধন করবেন কুমিল্লা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এফসিএ ( লোটাস কামাল) এমপি। অনুষ্ঠানটি উপলক্ষ্যে এরেই মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে নতুন রুপে সাজানো হয়েছে সড়ক-মহাসড়ক এর আশ-পাশ সহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার স্হাপনা,পথ-ঘাট। বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট, পোস্টার এবং স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ইতিহাসের অডিও প্রদর্শনীতে মুখরিত পুরো এলাকা জুড়ে।।এছাড়াও অনুষ্ঠানস্থলে লাল-সবুজ আলোকসজ্জায় ভিন্ন ভাবে আলোকিত করে তোলা হয়েছে। এই আনন্দমেলা উপলক্ষে কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট উপজেলা) সংসদীয় আসন এলাকাসহ জেলার সর্বত্র উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মুজিবশতবর্ষ আনন্দমেলা নিয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার বলেন,তরুণ প্রজন্মের সামনে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর অর্জন চিরস্মরণীয় করে রাখা ও স্বাধীনতার চেতনায়, বঙ্গবন্ধুর স্লোগান সমগ্র কুমিল্লাকে একত্রিত করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, মুজিব শতবর্ষ উদযাপন আয়াজনের একটি অনুষঙ্গ হয়ে টি-টোয়েটির ট্রফিও উন্মোচন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর স্মরণে জেলার ১৭টি উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন নিয়ে ১৮টি দলের আয়োজনে মুজিব শতবর্ষ ভিক্টোরিয়ান্স টি-টোয়েটি প্রথমবারের মতো সমগ্র কুমিল্লাকে একত্রিত করবে ক্রিকেটের মাঠে। এই আনন্দমেলার মঞ্চে একই সাথে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করবে। মুজিববর্ষ কে ঘিরে বছরব্যাপী নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে, যার আনুষ্ঠানিক সূচনা এই আনন্দমেলা। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়ে গেছেন। আমরা এই উপহারের গৌরব নতুন প্রজন্মের কাছে নতুনভাবে পৌঁছে দিব এই আমরা সকলের প্রত্যাশা।