কুমিল্লায় রমজানকে সামনে রেখে নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি : স্বল্প আয়ের মানুষ দিশেহারা

অন্যান্য

এম শাহীন আলম :
আগামী মাসেই পবিএ রমজান , শুরু হতে এখনো প্রায় সপ্তাহ তিনেক বাকি। এখনই রোজার উত্তাপ বাড়তে শুরু করছে নিত্যপণ্যের বাজারে। একদিকে করোনায় মহামারি আগ্রাসন, অন্যদিকে নিত্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক। দিন দিন নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নিম্ম আয়ের সাধারন মানুষ দিশেহারা।
গত কয়েকদিন বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিদিনই কিছু না কিছু নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য মতে পাইকারী বাজারে প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। তাই আমরা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও সক্রিয় কিছু অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী। পবিএ রমজানকে সামনে রেখে তারা এখন থেকেই রমজানে ব্যবহৃত পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলছে। সব মিলিয়ে নিন্ম আয়ের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে।
কুমিল্লার পাইকারি খ্যাত নিমসার কাচাঁ বাজার,কুমিল্লা নগরীর বাদশা মিয়ার বাজার,নিউ মার্কেট আন্ডার গ্রাউন্ড কাঁচা বাজার,রাজগঞ্জ বাজার, চক বাজার,চৌয়ারা বাজার,সুয়াগাজী বাজার,পদুয়ার বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা, যা দুমাস আগে বিক্রি হয় ৬৫-৭০ টাকা। আর গত বছর এই সময় বিক্রি হয় ৭৫ টাকা।
প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা দুমাস আগেও ৫৫ টাকায় বিক্রি হতো। গত বছর এই সময় বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি মুগডাল বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা, যা দুমাস আগে ১২০ টাকায় বিক্রি হতো। আর গত বছর এই সময় বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা দুমাস আগে বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা। আর গত বছর এ সময়ে বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা। এছাড়া হলুদের দামও বেড়েছে।
এছাড়া গুঁড়া দুধের মধ্যে ফ্রেশ বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, যা দু-মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৫৬০ টাকা। আর গত বছর একই সময়ে বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকা।
গত এক মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে নিত্য-প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। বিশেষ করে রোজায় যে সমস্ত পণ্যের বাড়তি চাহিদা রয়েছে সে সব পণ্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে।

এদিকে, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষ্য মতে, রমজানের সময় পণ্যের দাম নিয়ে যাতে সাধারন মানুষ সমস্যায় পড়তে না হয়, সে জন্য প্রস্তুত রয়েছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। এবার কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.