চান্দিনা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের তীরচর গ্রামে করোনা সতর্কতায় দোকান খোলার অপরাধে দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে প্রতারণায় সময় এক ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ চারজনকে আটক করে গ্রামবাসী।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টায় চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের তীরচর গ্রামে চার প্রতারকদের ভুয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় তাদেরকে আটক করা হয়।
এদের মধ্যে তিন ভুয়া ডিবি পুলিশও রয়েছে। পরে তাদেরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় উত্তেজিত গ্রামবাসী।
আটককৃতরা হলো কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার চুলাশ গ্রামের মো. ফারুক এর স্ত্রী মনি (২৯)। সে নিজেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলে পরিচয় দেয়। মো. আয়েত আলীর ছেলে ফারুক (৩৬), একই গ্রামের জাফর আলীর ছেলে লিটন (৪২) এবং অপরজন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে রহমান আলী (৩৫)। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। তবে তাদের কাছ থেকে অপরাধ জগত পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়পত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ জানান, তীরচর গ্রামের মাদরাসাসংলগ্ন এলাকায় বাবুল মিয়ার মুদি দোকানের সামনে এসে একটি মাইক্রোবাস থামে। গাড়ি থেকে নেমে তারা দোকানদার বাবুলকে আটক করে। চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেন দোকান খোলা রাখল সে জন্য দোকানিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে প্রতারকদের ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত! গ্রামের সহজ-সরল ও নিরীহ দোকানদার বাবুল মিয়া এক লাখ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে গাড়িতে তুলে নেয় প্রতারকচক্র। আমি ঘটনাস্থলে এসে ওয়ার্ড মেম্বার হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ওই নারী নিজেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুরুষরা পুলিশ পরিচয় দেয়। আমি তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তারা এলোপাতাড়ি কথা বলতে শুরু করে। পরে গ্রামের উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়।
চান্দিনা থানার ওসি মো. আবুল ফয়সল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ইউপি সদস্য (ওয়ার্ড মেম্বার) মামুন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।