Doinik Bangla Khobor

কুমিল্লার তিতাসে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অসদাচরন ও দুর্নীতির অভিযোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা তিতাস উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন বানুর অনিয়ম- দুর্নীতি ও রুঢ় আচরণের বিরুদ্ধে তিতাস উপজেলার আওতাভুক্ত প্রায় ৪০০ জন প্রধান ও সহকারী শিক্ষক দরখাস্ত আকারে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, কুমিল্লা-২ আসনের এমপি, শিক্ষা সচিব, মহাপরিচালক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রায় ৪ শত জন প্রধান ও সহকারি শিক্ষক একযোগে সাক্ষর সংগ্রহ করে দরখাস্ত আকারে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন বানু বিদ্যালয়ের স্লিপ ও রুটিন মেরামত থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, ক্ষুদ্র মেরামত থেকে ২ হাজার টাকা এবং অন্য খাত থেকে ২ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন সময়ে নানান অজুহাতে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পরিদর্শন বই ও টাকা নিয়ে অফিসে ডেকে পাঠান। প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভায় কোন ন্যায্য দাবির কথা বলা যায় না, কথা বলতে চাইলে ধমক দিয়ে বসিয়ে দেন। তিনি শিক্ষকদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন, খারাপ আচরণ করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি অবৈধ উপঢৌকন ছাড়া শিক্ষকদের বকেয়া বেতন ভাতা, চিকিৎসা জনিত বকেয়া বিল পাশ করেন না। এখনও কিছু শিক্ষকের ১৩-তম গ্রেডের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান করেন নি। তিনি ঢাকা থেকে এসে নিয়মিত অফিস করেন না। যার ফলে শিক্ষকরা সময়মত অফিসিয়াল কাজ শেষ করতে পারেন না। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সামনেই শিক্ষকদের বিভিন্ন অজুহাতে অপমান করেন। তিনি প্রায়ই নিজের চেয়ার ছেড়ে অফিস সহকারিদের কক্ষে গিয়ে বসে থাকেন, যার ফলে শিক্ষকগণ প্রায়ই ব্রিবত বোধ করেন। তিনি প্রায়ই মিড-ডে মিলের কথা বলে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে দুপুরের খাবার সেরে ফেলেন। শিক্ষকগণ উচ্চতর পড়ালেখা করার জন্য পরীক্ষার অনুমতি নিতে গেলে তাকে ২ হাজার টাকা দিতে হয়। তিনি প্রায়ই শিক্ষকদের বিভাগীয় মামলা করার ভয় দেখান। চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর জাতীয় শিক্ষক দিবসে তিতাস উপজেলা শিক্ষা অফিসার কোন শিক্ষককে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেন নি। এছাড়াও আরো অনেক অভিযোগ করা হয়। মেঘনা উপজেলায় চাকুরি করা অবস্থায়ও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নিউজ হয়েছে। এক পর্যায়ে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজসহ বদলীও করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে তিতাস উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন বানু বলেন, শিক্ষকগণ যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করেছেন, সেগুলো সত্য নয়।আমি কোন অন্যায় করিনি। আমি যা করছি নিয়ম মেনেই করছি। ভাষাগত বিষয়ে বলেন, আমি কাউকে ছোট করে কথা বলিনি বা গালমন্দ করিনি। অর্থ নেয়ার বিষয়টিও সঠিক নয়।