হালিম সৈকত, কুমিল্লা :
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা-কল্পনা। কে হচ্ছেন কোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী। সাধারণ জনগণের কৌতূহলের কোন শেষ নেই। বিভিন্ন বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যমে জানার চেষ্টা করছেন অনেকেই। কার পাল্লা ভারী সেদিক বিবেচনা করে যোগাযোগ রক্ষা করেও চলছেন।
সেই ধারাবাহিকতা চলছে নারান্দিয়া ইউনিয়নেও। নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরতে প্রার্থীদের প্রাণান্তকর চেষ্টা ভোটারদের মাঝেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দিয়েছে।
তবে প্রবীণ প্রার্থীদের তুলনায় নবীন প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা ভোটারের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি, চাচ্ছেন সবার দোয়া। বিভিন্ন আলোচনা সভা, মতবিনিময় সভা ও উঠান বৈঠকে করছেন অংশগ্রহণ।
নবীন এসব প্রার্থীদের প্রচার-প্রচরণায়ও তারুণ্যের উচ্ছ্বাস সবচেয়ে বেশি। ছোটখাটো কর্মসূচিতেও তরুণদের ঢল নামছে। নতুন ভোটার ও তরুণ সমাজকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন নবীন এসব প্রার্থী। নবীন এসব প্রার্থীদের হয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম পোস্ট দিচ্ছেন অনেকেই।
নারান্দিয়া ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মো: হারুনুর রশিদ গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি খলিলাবাদ গ্রামে জুম্মার নামাজ শেষে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মতামত নেন। তিনি বলেন, আপনারা যদি সম্মতি প্রকাশ ও সহযোগিতা করেন, তাহলে আমি নৌকার প্রার্থী হবার চেষ্টা করব। কুমিল্লা-২ আসনের এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী ও তিতাস উপজেলা পরিষদের দুইবারের সফল চেয়ারম্যান মোঃ পারভজ হোসেন সরকারের আর্শীবাদ নিয়ে আমি নৌকার প্রার্থী হতে চাই। আমি ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিতাস উপজেলা কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম।
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসান জামিল সাত্তারের পক্ষে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে খলিলাবাদ কেন্দ্রে সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রহৃত হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন তিনি।
একজন সৎ শিক্ষিত নিরহংকার নির্লোভ ও জনহিতৈষী সমাজসেবক হিসাবে এলাকায় তার ব্যাপক সুনাম লক্ষ করা যায়। এলাকার সকল জনগনের নিকট তিনি একজন সজ্জন ও ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত।