কুমিল্লার দেবিদ্বারে গৃহ-বধুকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

অপরাধ

বিশেষ প্রতিনিধি :

স্বপ্ন ছিল স্বামীকে নিয়ে সুখের ঘর বাঁধবেন। কিন্তু সেই ঘর বাঁধার আগেই লাশ হয়েছেন জেসমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূ।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউপির গোপালনগর গ্রামে। ১০ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুরে স্বামী সফিউল্লাহর ঘর থকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে থানায় অভিযোগ করেন নিহতের বড় ভাই মো. খাইরুল আমিন।

নিহত জেসমিন উপজেলার ইউসুফপুর ইউপির পৈরাঙ্কুল গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক।

জেসমিনের ভাই খাইরুল আমিন জানান, তিন মাস আগে গোপালনগর গ্রামের মো. আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে সফিউল্লাহর সঙ্গে জেসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীকে বিদেশ পাঠাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় জেসমিনকে বিভিন্ন সময়ে গালমন্দ ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতেন স্বামীসহ পরিবারের লোকজন।

তার বোনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। সোমবার তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেই ঘরের আড়ার সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

দেবিদ্বার থানার এসআই মো. নাজমুল হাসান জানান, গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। জেসমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.