আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া :
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতন ও হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কুমিল্লার দেবীদ্বারে কর্মরত সাংবাদিকরা। এ সময় জেলার সাংবাদিকরাও এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দেবীদ্বার মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার চুলাশ উত্তর বাজারের মরিচাগামী সড়কের উপরে সুমনের চায়ের দোকানের সামনে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি।
এ ঘটনারই জের ধরে ওই দিন রাত আটটায় সন্ত্রাসীরা আরেক দফায় তার বাড়িতে যেয়ে আবারো হামলা করে ভাংচুর চালায়। এসময় এহামলায় সাংবাদিক বিল্লালসহ তার ভাই জালাল, জালালের স্ত্রী রীনা বেগম, পুত্র শাহজাহান ও আহত সাংবাদিকের চাচা সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
আহতরা বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। আহত, নির্যাতিত সাংবাদিকদের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করতে হবে। এছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা ও তাদের সুরক্ষার দাবি তুলে দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার বলেন, মাঠে নেমে এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো সাংবাদিক হত্যা, হামলা, নির্যাতনের সুবিচার আদায় করতে পারিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও কী সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনের দৃশ্য চোখে পড়ে না?
‘নির্যাতিত সাংবাদিকদের অপরাধ তারা সত্য সংবাদ সংগ্রহের কাজে নেমেছিল। বাক স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্র মানবতার জন্য সাংবাদিকরা লড়াই করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা মার খাচ্ছি। আজো গণমাধ্যমকর্মী আইন পাশ করা হয়নি। ওয়েজবোর্ড পাশ করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। সব ক্ষেত্রেই আমরা পদে পদে নির্যাতিত হচ্ছি সব ক্ষেত্রেই। প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ, কয়েক দিনের মধ্যেই সাংবাদিক নির্যাতনকারী, হেনস্থাকারী, হামলাকারীদের গ্রেফতারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিন।’
দৈনিক আমাদের দেবীদ্বার পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এটিএম সাইফুল ইসলাম। মাসুম বলেন, আমরা সব সাংবাদিকরাই নির্যাতিত হচ্ছি, অথচ হামলাকারীরা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা হতে পারে না। একজন সাংবাদিককে কোপানো হবে, আবার আদালতে গিয়ে হুমকিও দেওয়া হবে, এটা পুরো সাংবাদিক সমাজের জন্য লজ্জা। আমি মনে করি, বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার সময় এসেছে। সাংবাদিক হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে বাকিদের গ্রেফতার করা হোক।
সমাবেশে উপস্থিত থেকে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকা ও বিএমএসফ'র কুমিল্লা উত্তর জেলা কমিটির সভাপতি মো. শাহিদুল ইসলাম, দৈনিক আমাদের কন্ঠের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মো. জহিরুলর ইসলাম মারুফ ও দৈনিক শিরোনাম পত্রিকার মো. আবদুল আলীম প্রমূখ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক আজকলের খবর পত্রিকার কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মো. শরিফুল আলম চৌধুরী, দৈনিক গণকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মো. আবদুল জলিল, এশিয়ান টিভির মো. নেছার উদ্দিন, দৈনিক আমাদের কন্ঠের দেবীদ্বার প্রতিনিধি মহি উদ্দিন স্বপন ও লোকমান তালাশী প্রমূখ।