কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নব-বধুর হাতে মেহেদী রং মুছে যাওয়ার আগেই গৃহবধূ আছমা আক্তার জেরিন (১৯) খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ এপ্রিল
(সোমবার) রাতে উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামে। ওই গৃহবধূর মৃত্যুর পর থেকে তার শশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, সাতবাড়ীয়া গ্রামের নুর আফজাল মোল্লার মেয়ে আছমা আক্তার জেরিনের সাথে একই গ্রামের সিরাজ মজুমদারের ছেলে নাজমুল মজুমদারের সাথে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। এরপর পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জেরিনের ননদ মায়া বেগম ও ভাসুর কামরুল হাছান মেনে নিতে পারেননি। বিয়ের দুই মাস পর নাজমুল সৌদিআরবে চলে যাওয়ার পর থেকে তার উপর মানসিক নির্যাতন করতে থাকে তারা। গত সোমবার রাতে জেরিন তার শ্বশুর বাড়িতে শ্বশুর, ভাশুর, ননদ ও জ্যা’র সাথে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন। এ সময় জেরিনের বড় ভাই আতিক প্রবাস থেকে ফোন করলে কাজ রেখে ভাইয়ের সাথে কথা বলতে ঘরে চলে যান জেরিন। এতে জেরিনের ভাসুর নাজমুল, ননদ মায়া বেগম ক্ষীপ্ত হয়ে ঘরে ঢুকে তাকে গলা টিপে ধরে ও কিল ঘুষি মারলে ঘটনাস্থলে জেরিনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করে নিহতের পরিবার। পরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জেরিনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে এটিকে আত্মহত্যা বলে অপপ্রচার চালায়।
জেরিনের মা হাছিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, জেরিনকে শশুর বাড়ির লোকজন খুন করেছেন। অপরাধীদের কঠিন বিচারও চান তিনি।
জেরিনের জেঠা নুরুল হুদা মোল্লা বলেন, তার ভাতিজিকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে মারধর করে হত্যা করেছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।