নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা বরুড়ার ২নং বভানীপুর ইউপি'র জালগাঁও গ্রামে প্রতিা অসহায় স্থানীয় কৃষক মোস্তফা। সম্পত্তি বিরোধের জেরে দীর্ঘদিন ধরেই একের পর এক হামলা ও মারধরের শিকার নওয়াবা আলীর ছেলে মোস্তফা ও তার পরিবার। সরেজমিনে ঘুরে ভুক্তভোগী মোস্তফা, তার স্ত্রী, ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে শনিবার মধ্যে রাতে পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী বাহিরে নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় বাবুল গং। ঘরের দরজা ভেঙ্গে রাত আনুমানিক ৩টায় মোস্তফা ও তার স্ত্রী'ক নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করে। ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে ভাংচুর লুটপাট এবং মারধর। শোর চিৎকার শুনলেও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসার সাহস পায়নি। এসময় একটি খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়া সহ ঘরে থাকা ২ ভরি স্বর্ণালংকার ও জমী বন্ধক দেয়া ৪লক্ষ টাকা লুট করে নেয় বাবুল ও তার বাহিনী। সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপে মাথা, কপাল ও ঘারে গুরুতর আঘাত পেয়ে কুমিল্লা সদর হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে নিরিহ কৃষক মোস্তফা। কিছু দিন আগে বাবুল ও তার বাহিনী জমি পাওনা দাবী করে মোস্তফার লাগানো বেশ কিছু ফলজ ও বনজ গাছ, মুড়ার বাঁশ কেটে নেয় এবং পুকুরে মাছ ধরে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। বাঁধা দিতে গিয়ে তখনো মারধরের শিকার হয় মোস্তফা। স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে ক্ষমতার অবৈধ প্রভাবে বাবুলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা ও লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। স্থানীয়রা জানায় সম্পতি বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে আসছে গত কয়েকমাস ধরেই। গতকাল রাতে মোস্তফার ঘরে প্রবেশ করে তাকে কুপিয়ে আহত করে বাবুল বাহিনী। চিৎকার শুনলেও এতো রাতে ভয়ে এগিয়ে যাওয়ার সাহস হয়নি বলে জানান প্রতিবেশীরা। এমন চলতে থাকলে যে কোন সময় খুন খারাপি হতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। এর আগে বেশ কয়েকবার এলাকায় বিচার শালিস হলেও কোন সুরাহা হয়নি। মধ্যরাতে নিজ ঘরে বাবুল বাহিনীর হামলায় আহত মোস্তফার বোন জামাই প্রবাস ফেরত সাত্তার জানান, সকালে এলাকার লোকজনের সহায়তায় গুরুতর আহত মোস্তফাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এবিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত বাবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজের খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে আমাদের ফাঁসাতে চেষ্টা করছে মোস্তফা। রাতে লোকজন নিয়ে ঘরে ঢুকে মোস্তফা মিয়া ও তার পরে ওপর হামলার বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এতোদিন মোস্তফা তার জমি ভোগ দখল করেছে এখন আমি আমার সম্পদ বুঝে নিয়েছি, আমার জমির গাছ ও বাঁশ আমি কেটেছি সেগুলো মোস্তফার জমি নয়।
এবিষয়ে বরুড়া থানার এসআই উত্তম কুমার বলেন, খবর পেয়ে রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।