বিশেষ প্রতিনিধি :
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) কে আপা বলে সম্বোধন করায় রাগান্বিত হয়ে মা ডাকতে বললেন এক সেবা গ্রহীতাকে।
এমন ঘটনা কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার। পরে ওই সেবাগ্রহীতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিনের এমন আচরণে বিরক্ত হয়ে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরেন ।
সেবা গ্রহীতার নাম জামাল উদ্দিন। বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজারের একজন ব্যবসায়ী।
জামাল উদ্দিন তার ব্যক্তিগত ফেইসবুকে লিখেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো।
সরকারী কর্মকর্তাদেরকে সাধারণ জনগন স্যার বলতে হবে এটা কি বাধ্যতামূলক? এই বিষয়ে সরকারের কোন আইন আছে কি?
ফেক্টঃ বুড়িচং উপজেলার UNO(মহিলা ) কে আপা বলার কারনে খুব রাগান্বিত হয়েছেন, এটানাকি Office address না, আপা না বলে মা ডাকতাম ।
আমি লজ্জিত । দেশটা কি মগের মুল্লুক?
এ বিষয়ে জামাল উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সোমবার দুপুরে জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত একটি কাজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে যান। এ সময় তিনি তার সমস্যা তুলে ধরে সমাধান চাওয়ার সময় ইউএনওকে আপা বলে সম্বোধন করেন। পরে তিনি উত্তেজিত হয়ে যান। তখন তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্যার ডাকতে না পারলে মা ডাকবেন। এ ঘটনায় আমি বিব্রত হই। এ সময় কয়েকজন সরকারী দফতরের কর্মকর্তা ও রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা জানতে বুড়িচং উপজেলার ১ নং রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওইদিনের ঘটনা সত্য। স্যার না বলায় ইউএনও মহোদয় ক্ষেপে যান।
পরে এ বিষয়ে সেবাগ্রহীতাদের অনেকেই নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, ইউএনও সাবিনা ইয়াসমিনকে স্যার বলে সম্বোধন না করলে তিনি ( ইউএনও) ক্ষেপে যান।
বিষয়টি নিয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি বয়স্ক মানুষ। তাই উনাকে বলেছি আপু না ডেকে মা ডাকতে। একজন বয়স্ক মানুষ কেন আপু ডাকবে। মা ডাকবে। ম্যাডাম বলতে পারে অথবা ইউএনও সাহেবও ডাকতে পারে। এ কথাই বলেছি। আর যদি কেউ কোন নারীকে দেখলেই কেউ আপা ডাকে তাহলে বুঝতে হবে তার চরিত্রে সমস্যা আছে। আমি স্যার বলতে বলি নি।