লাভের টাকার জন্য নারী নির্যাতনের অভিযোগ ছাড়াও সুদের টাকায় বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ
মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং কুমিল্লা থেকে :
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গোপীনাথপুরে সুদ ব্যবসায়ী প্রতারক আব্বাসের নির্যাতনে অসহায় অনেক পরিবার। লাভ সহ সম্পূর্ণ টাকা পাওয়ার পরেও পরিবারের উপরে নির্যাতনের অভিযোগ করেন এক ভুক্তভোগী।
গত ২৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, গত ২০১৭ সালে গোপীনাথপুর গ্রামের রেজাউল নামের এক ব্যক্তি আব্বাস আলীর কাছ থেকে ৩,৭০,০০০/-(তিন লক্ষ সত্তর হাজার) আনবে। এটার জন্য জামিনদার হতে হবে রেজাউলের ভাবি মৌসুমী আক্তারকে। মৌসুমী জামিনদার হলে আব্বাস রেজাউলকে ৩ লাখ ৭০ টাকা দেয়। কিন্তু ডকুমেন্ট হিসেবে কাগজ করা হয় ৫ লাখ টাকার। ৫ বছর ১ লাখ সত্তর হাজার টাকা করে লাভ দেওয়ার পরে ২০২২সালে এক সাথে মুল টাকা সহ ৪ লাখ টাকা দিয়ে দেয় ভুক্তভোগী মৌসুমি আক্তার।
আব্বাস আলীর সমস্ত টাকা পরিশোধ করার পরেও আব্বাস আলী মৌসুমির এবং তার পরিবারকে বিভিন্ন হয়রানি ও হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আব্বাস আলীর জুলুম নিপীড়ন থেকে বাঁচতে মৌসুমী আক্তার বুড়িচং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
একি এলাকার কুদ্দুস নামের আরেক ব্যক্তি আব্বাসের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা লাভে এনে ১১ লাখ টাকা দিয়ে ঋন পরিশোধ করেন।
ভুক্তভোগী মৌসুমি আক্তার বলেন আমার দেবর রেজাউল আব্বাসের কাছ থেকে ৩লাখ ৭০ হাজার টাকা আনে। আমি ছিলাম জামিনদার। তার লাভ সহ সকল টাকা পরিশোধ করার পরেও সে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। তাকে যে টাকা দিয়েছি এটার স্বাক্ষ প্রমাণ সহ আছে। কিছু দিন আগে সে আমার গায়ে হাত সহ তুলছে। টাকা না দিলে নাকি মেরে ফেলবে। আবার স্বামীকে বলে তুর বৌয়েরে তালাক দিয়া দিলে টাকা লাগবে না। তুর বৌ থাকলে টাকা দিতে হবে। আমার এখন আত্মহত্যা ছাড়া কোন রাস্তা নাই তাই আমি বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ করে আসছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুদ ব্যবসায়ী আব্বাস আলী বলেন, সুদ কোন এলাকায় খায় না? আর যারা অভিযোগ করছে তারা দি আমারে বাপ ডাকতাছে শেষ করা জন্য। ধুর এটা কোন বিষয়ই না!
বুড়িচং থানার এস আই নুরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পরে ওসি স্যার তাদেরকে থানায় ডেকে এনে বলে দিয়েছে যদি টাকা পাওনা থাকে তাহলে তারা যেন কোর্টে গিয়ে মামলা করে। আর সুদের টাকা নিয়ে এলাকায় ঝামেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।