বিশেষ প্রতিবেদক :
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউপি'র কালাকচুয়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় স্বামীর সাথে অভিমান করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মাহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায়। ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে আত্মাহত্যা করে গৃহবধূ । বাড়ির লোকজন সাড়া শব্দ না পেয়ে সন্দেহ হলে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত দেহটি নামিয়ে স্থানীয় কাবিলা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন এর কালাকচুয়া গ্রামের সুমন সাহার ছেলে লোকনাথ সাহার সাথে গত ৬ মাস পূর্বে জেলার মেঘনা উপজেলার নুরীকান্দি সাহা পাড়ার নেপাল চন্দ্র সাহার মেয়ে বিথী রানী সাহা ( ১৮) এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে সুখের কোন কমতি ছিল না। দু'জনের মাঝে বেশ ভাব ভালোবাসা হয়ে ওঠে গত ৬মাসেই। তবে তাদের এ সুখ হঠাৎ তছনছ হয়ে গেল মূহুর্তেই। বৃহস্পতিবার সকালে বিথী রানী সাহার স্বামী তার কর্মস্থলে ক্যানন্টনমেন্ট মার্কেটে চলে যায়। সে সময় নাস্তার সময় পায় না। স্ত্রী তাকে ফোন দিয়ে জানতে চায় কেন সে নাস্তা না করে গেল নাকি স্ত্রীর উপর রাগ করে চলে গেছে। স্বামী লোকনাথ সাহা ফিরে না আসায় স্ত্রী ভীষণ অভিমান করে বলে "তুমি আসবা ঠিকই তখন আর আমাকে পাবে না"।
সকাল সাড়ে ৮টায় নববধূ বিথী রানী সাহা তার ঘরে ঢুকে দরজা জানালা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলার ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আত্মাহত্যা করে। বাড়ির লোকজন দরজা জানালা বন্ধ দেখে সন্দেহ হলে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে দ্রুত কাবিলা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বুড়িচং থানার দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মোঃ রুহুল আমিন সঙ্গীয় ফোর্স সহ লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এস আই মোঃ রুহুল আমিন জানান, গত ৬ মাস বিয়ে হয়েছে বিথী রানী সাহা ৩ মাসের গর্ভবতী ছিল। স্বামী সকালে নাস্তা না করে কর্মস্থলে চলে যাওয়ায় অভিমান করে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বলে স্বামী লোকনাথের বরাত দিয়ে তিনি জানান। এঘটনায় বুড়িচং থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।