লাকসাম প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর চৌমুহনীতে করোনায় আক্রান্ত মৃত সহকর্মীর সংস্পর্শে থেকে আক্রান্ত হওয়া কুমিল্লার লাকসামের দুই যুবকের পরিবারের আরো ছয় জন সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি পৌরশহরের দক্ষিণ লাকসাম সাহা পাড়া এলাকায়। এ নিয়ে লাকসামে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়ালো। বুধবার নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সূত্র জানায়, পৌর শহরের দক্ষিণ লাকসাম সাহা পাড়া এলাকার দুই আপন ভাই চৌমুহনীতে একই ফার্মে চাকুরী করতেন। ঐ ফার্মের এক সহকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের পর গত ২২ এপ্রিল তারা লাকসাম চলে আসেন। তাদের আগমনের খবর পেয়ে ঐদিন রাতেই স্থানীয় প্রশাসন তাদের বাড়িসহ আশপাশের তিনটি বাড়ি লকডাউন করে দেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আই ইডি সি আর-এ পাঠানো হলে ২৫ এপ্রিল তাদের ফলাফল পজেটিভ আসে। পরবর্তীতে তাদের পরিবারসহ আশপাশের আরো ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আই ইডি সি আর-এ পাঠানো হয়। বুধবার আসা রিপোর্টে ছয়জনের ফলাফল পজেটিভ ও তিনজনের নেগেটিভ আসে। বাকি ৪ জনের রিপোর্ট এখনো আসেনি। নতুন আক্রান্তরা হলেন ওই দুই ভাইয়ের পিতা-মাতা, দুইজনের স্ত্রী ও দুই সন্তান। আক্রান্ত পিতার বয়স ৭২ বছর, মাতার ৬০ বছর, দুই ভাইয়ের স্ত্রীর বয়স যথাক্রমে ৩৬ ও ২৬ বছর। বড় ভাইয়ের কন্যার বয়স ১৪ ও পুত্রের বয়স ১২ বছর।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সূএ মতে লাকসামে একই পরিবারের ছয়জনের করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারা। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।