আমিনুল ইসলাম :
প্রবাসী স্বামী দেশে আসার দিনই স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷
কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার সরকারি হাসপাতালে বিপরীতে রহমান ভিলার ৪র্থ তলায় মঙ্গলবার সন্ধায় এ ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে লাকসাম থানার পুলিশ সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা।
নিহত গৃহবধূ প্রিয়াঙ্কা আক্তার (২৭) পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে বাতাখালি গ্রামের মাষ্টার বাড়ীর সফিকুর রহমানের ছেলে প্রবাসী মাসুদুর রহমানের স্ত্রী।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, পৌরসভার বাতাখালী গ্রামের মাষ্টার বাড়ির সফিকুর রহমানের ছেলে মাসুদুর রহমান গত ১০ বছর পূর্বে খুলনা জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এর পর তারা ইসলামিক শরীয়তের মাধ্যমে কাজি অফিসে বিবাহ করেন। মাসুদের পরিবার তাদের বিবাহ সম্পর্কের বিষয়টি মেনে না নেওয়া কারনে তার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা আক্তারকে লাকসাম সরকারি হাসপাতালে সামনে একটি বাসায় ভাড়া করে থাকনে। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি আট বছরের কন্যা সন্তান আছে তার নাম মোহনা আক্তার।
গত কয়েক বছর আগে মাসুদুর রহমান প্রবাসে চলেযায়। আর এদিকে প্রিয়াঙ্কা আক্তার ও তার সন্তান মোহনাকে নিয়ে রহমান ভিলায় ৪র্থ তলায় একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। রবিবার পরিবারের স্বজনরা জানতে পায় বিদেশ থেকে মাসুদুর রহমান দেশে আসবে। এখবর শুনে মঙ্গলবার সকালে তার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা আক্তার একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে মেয়ে মোহনা ও তার শশুর বাড়ি স্বজনরা সোমাবার ঢাকা এয়ারপোর্টে চলে যায়।
বিকালে কাজের মহিলা বাসার সামনে এসে দরজা ভিতরে বন্ধ দেখে ডাকতে থাকেন। কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ীর মালিকে ডাকাডাকি করে। বাড়ীর মালিক গৃহবধূর আত্নীয়স্বজনকে খরব দেয়। সন্ধায় এসময় জানালা খুলে দেখতে পায় মাসুদুর রহমানের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা আক্তার প্যানের সাথে গলায় সাদা রশিতে ঝুলে আছে। পরে স্থানীয় কাউন্সিলার আবু সয়েদ বাচ্চু পুলিশ খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার রাতে লাকসাম থানার এস আই আমিনুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার ও এলাকারবাসীর সহোযোগিতায় দরজা ভেঙ্গে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে।
কুমিল্লায় ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি চলছে রিপোর্ট আসলে সঠিক মৃত্যুর খবর জানতে পারবো।