এম শাহীন আলম :
কুমিল্লা সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইউনূসের অনিয়মের কারনে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে পৈতিক জমি নিয়ে ভাইয়ের উপর ভাইয়ের হামলা,মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে,
গত ১৩ ফেব্রুয়ারী-২০২০, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সির ২য় তলায় বেডে আহত অবস্হায় জগন্নাথপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইউনূস মিয়া'র অনিয়মের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ভিডিও বক্তব্যের মাধ্যমে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী আহত আব্দুল কাদের,
ভিডিও বক্তব্যে আব্দুল কাদের গন-মাধ্যমকে জানান তিনি কুমিল্লা সদর উপজেলার ছোট আনন্দপুর গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য মৃত মোঃ জয়নাল আবেদীন এর ছোট ছেলে ,তিনি আরো বলেন আমরা মৃত জয়নাল আবেদীনের সাত সন্তান, এর মধ্যে আমার পাঁচ বোন,আমিসহ ভাই দুইজন,আমি আর আমার বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক,তিনি বলেন আনন্দ পুর বট তলায় আমার বাবার নামে সাত গন্ডা জমি রেখে গেছেন ,আমার বাবা বেঁচে থাকা অবস্থায় এই জমির সাত গন্ডা থেকে আমার নামে ১গন্ডা দলিল দিয়ে গেছেন,আর বাকি ৬গন্ডার মধ্যে আমি আমার বড় ভাই ৩ গন্ডা করে পাবো,আমার বাবা মারা যাবার পর এই ভাবে আছে জায়গা টা,আমার বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক ঐ জায়গারটির উত্তর দিকে মার্কেট ও স্কুল ঘর গড়ে তোলে,এরেই মধ্যে জমির কিছু অংশ বিক্রি করে আমি প্রবাসে যাওয়ার চিন্তা করি সেই জন্য আমার অংশের জায়গায় টা খারিজের জন্য জগন্নাথ পুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাই,সেখানে গেলে ভূমি অফিসের তহসিলদার ইউনূস মিয়া আমাকে বলেন,তোমার বাপের রেখে যাওয়া এ জমির তো আরো আগে তোমার বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক এর নামে খারিজ হয়ে গেছে, তখন আমি জিঙ্গেস করি এটা তো আমার বাবার নামে সম্পত্তি কি করে আমার বাবার আরো সন্তান থাকতে একজনের নামে খারিজ হয়,তহসিলদার ইউনূস মিয়া জানান এটা উপরের টেলিফোনের চাপে আমি এটা করি,কাদের বলেন আমি এ বিষয়টি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুন ভাই কে জানাই,তখন চেয়ারম্যান সাহেব ইউনূস মিয়াকে ডেকে আমার অভিযোগের ব্যপারে অবহিত করে এবং বলে আপনি বাপের পৈতিক সম্পত্তি তার একাধিক সন্তান থাকতে একজনের নামে কিভাবে খারিজ করেন,চেয়ারম্যান সাহেব তখন ইউনূস মিয়াকে বলেন প্যাঁচ যখন লাগিয়েছেন কিভাবে এটার সমাধান করবেন করেন,এর পর আমাকে দিয়ে তহসিলদার ইউনূস মিয়া আবারো খারিজটি বাতিলের জন্য একটি দরখাস্ত করান,কাদের জানান দরখাস্ত করার বহু দিন অতিবাহিত হবার পর কাজের ধীরগতি দেখে আমি আবারও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাই,তখন ইউনূস মিয়া আমাকে বিভিন্ন ভাবে কথা গুরাইতে থাকে তখন আমি ইউনূস মিয়ার কথায় বুঝলাম সে আমার কাছে টাকা চায় তখন আমি তহসিলদার ইউনূস মিয়া কে এক হাজার টাকা দেই,
কাদের ভিডিও বক্তব্যে আরো জানান আমার দরখাস্তের পরিপেক্ষিতে ১৮ ফেব্রুয়ারী-২০২০ এসিল্যান্ড অফিস থেকে তদন্ত করার জন্য অফিসার আসার কথা ছিল,কিন্তু গত ১১.০২.২০২০ বুধবার ভোরে ফজর নামাজ পড়ে বট তলা আমাদের জায়গায়টির সামনে এসে দেখি ড্রাম ট্রাক গাড়ি দিয়ে মাটি এনে ভরাট করছে এবং একজন লোক কোদাল দিয়ে মাটি সমান করছে,তখন আমি জিগ্যেস করি এই জায়গায় কে মাটি পালাইয়ে লোকটির সাথে কথা বলা চলাকালীন সময়ে আমার বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক ঘটনার স্হলে আসে,তখন আমি মাটি ভরাটের ব্যাপারে জিগ্যেস করে তিনি আমার উপর রেগে চওড়া হয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দমকি দেয়,তাৎক্ষণিক আমি প্রতিবাদ করতে চাইলে আমার ভাইসহ তার পক্ষের কয়েকজন মিলে আমাকে বেধরক মারধর করে আহত করে,তখন আমার এলাকার লোকজন আমাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান,এবং আমার স্ত্রী বাদী হয়ে আমার বড় ভাইয়ের নামে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন,আহত কাদের ভিডিও বক্তব্যে গণ-মাধ্যমকে জানাযন জগন্নাথ পুর ইউপি তহসিলদার ইউনূস মিয়ার দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারনে আজ আমার এ অবস্থা,আমরা ভাইয়ে ,ভাইয়ে মধ্যে হামলা ,মামলা হচ্ছে,কাদের জানায় আমরা একাধিক ভাইবোন থাকতে আমার বাবার পৈতিক জমি একক ভাবে কি করে তহসিলদার ইউনূস মিয়া আমার বড় ভাইয়ের নামে খারিজ করে দেয়,তিনি জানান তহসিলদার ইউনূস মিয়া,অনিয়মসহ এবং বিনা তদন্তের মাধ্যমে আমার ভাইয়ের নামে আমার বাবার সম্পত্তি একক ভাবে খারিজ করে দেয়,তিনি যদি আমাদের পরিবারের সবাই কে জানিয়ে আমার বড় ভাইয়ের নামে খারিজটি করতো তাহলে আমার ভাইয়ের সাথে আমার দন্দ্ব হতো না,হামলা, মামলা হতো না আমি আহত হয়ে এখন হাসপাতালে বেডে শুয়ে থাকতে হতো না,ভূক্তভোগী কাদের জানান আমার এই জমি নিয়ে বিরোধের মূল কারন হলো তহসিলদার ইউনূস মিয়া,কাদের বলেন আমার এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আমার মতো কেউ যেন সম্পত্তি নিয়ে ভূমি অফিসে এসে হয়রানির শিকার না হয়,আমি তহসিলদার ইউনূস মিয়ার দুর্নীতির অনিয়ম বন্ধে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রধানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের প্রতি বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি,
ভূক্তভোগী কাদের এর ভিডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার আগে ইউনূস মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে এই অভিযোগের ব্যাপারে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান এই অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে কেন.?আমি কি খারিজের কাগজ পএে সই করেছি,যারা খারিজের কাগজপত্র সই করেছে তাদের কাছে যান যে সময়ে যে এসিল্যান্ডে খারিজের কাগজে সই করেছে তাকে জিগেস করেন বলে নিউজ না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি মোবাইল কেটে দেন,
ভিডিও টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হবার পর ইউনূস মিয়া গত ১৯.০২.২০২০ তারিখ সন্ধ্যা আমাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলেন তার কাছে নাকি আমি পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছি ,টাকা না পেয়ে নাকি আমি তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছি,ইউনূস মিয়া মোবাইল ফোন আমাকে বলে এই শাহীন তুমি কোথায় ,তুমি শাহীন এলাকায় থাকবেন না,আমিও এলাকার সন্তান,তুমি আমার সাথে দেখা করো,আমি তাকে বলেছি আপনি কি আমাকে টাকার কথা বলে ব্ল্যাকমেইল করতে চাচ্ছেন,তিনি বলেন তুমি শাহীন কাদেরের মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে আমাকে ফাঁসাচ্ছো কেন,এই ঘটনার সাথে কি আমি একাই জড়িত আরো তো অনেকে জড়িত যারা খারিজের কাগজে সই করেছে তাদেরকে বলো না কেন,আবু বক্কর সিদ্দিক মামুনকে প্রশ্ন করো না কেন..?তিনি আমাকে দেখে নিবে বলে মোবাইলে হুমকি দিতে থাকে,তখন আমি ইউনূস মিয়াকে বলি আমি যদি আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট কিছু লিখে থাকি,তাহলে আপনি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে আমি লাইন কেটে দেই এবং তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমি আমার ইউপি চেয়ারম্যান মামুন ভাই এবং আমার ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার নবী উল্লাহ কায়ুম চাচাকে মোবাইল ফোনে জানাই,
তার বিরুদ্ধে ভিডিও টি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ইউনূস মিয়া বিভিন্ন লোকজনসহ আমার সহকর্মী ৭১ টাইমস ২৪ এর সাংবাদিক মোঃ আসিককে জানান আমি নাকি তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছি,তিনি টাকা না দেওয়াতে আমি তার বিরুদ্ধে লেগেছি,নিজের দোষ ঢাকতে ইউনূস মিয়া আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিনই,
অএ ইউনিয়ন এলাকার আমজনতার অনেকে বক্তব্যে বলেন ইউনূস মিয়ার একজন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ ,টাকা ছাড়া তার অফিসে কোন কাজই করে না,ইউনিয়ন বাসী তার অপসারনের জোর দাবী জানান,আমার এই নিউজের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ সহ শাস্তির দাবি জানাই এবং আমার নিউজ যদি তার বিরুদ্ধে ভূল প্রমাণিত হয়,আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করছি, পরবর্তী অনুসন্ধানে পরের সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে