Doinik Bangla Khobor

কুমিল্লায় ডিএফও’র যোগসাজশে নাজমুলের নের্তৃত্বে কাগজপত্র চেকের নামে চলছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী

কুমিল্লা প্রতিনিধি :
পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি,রাঙ্গামাটি,বান্দরবান,কক্সবাজার পাহাড়ি ও উপকূলীয় এলাকা থেকে আসা বনজ  গাছ,কাঠ,বাঁশ, ফুলের ঝাড়ু,মৌশুমী ফল সহ সকল বনজ দ্রব্য ভর্তি গাড়ী গুলো থেকে কুমিল্লার সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির এর যোগসাজশে সুয়াগাজি ফরেস্ট চেক স্টেশন কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য যোগদানকারী নাজমুল এর নের্তৃত্বে শুল্ক কর কাগজপএ (টিপি) চেকের নামে প্রকাশ্যে বনজ বোঝাই গাড়ির প্রকার ভেদে বিভিন্ন অংকের টাকা চাঁদাবাজী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে চেক স্টেশন কর্মরত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সদ্য যোগদানকারী সুয়াগাজীর চেক স্টেশন কর্মকর্তা নাজমুল যোগদানের পর থেকে কাগজপত্র (টিপি)চেকের নামে বেপরোয়া ভাবে এই স্টেশনে হয়রানি ও চাঁদাবাজির মাত্রা বেড়ে যায়।

এই প্রতিবেদনটির স্বার্থে সরেজমিনে সুয়াগাজি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও কাঠ ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকে জানান, এই সুয়াগাজি চেক স্টেশনে  গাড়ীতে আসার মালের কাগজপত্র চেকের নামে চেক স্টেশনে কর্তব্যরতদের বিভিন্ন অংকের টাকা দিতে হয়,না হয় তারা গাড়ী ছাড়ে না,কাঠ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আমরা ব্যবসা করি সরকার কে ভ্যাট টেক্স দিয়ে,তারপরও চেক স্টেশনে টিপি চেকের নামে টাকা দিতে হয়,আর টাকা না দিলে কাঠ/মালের গাড়ি গুলো আটক রেখে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করে সুয়াগাজি স্টেশনে কর্তব্যরতরা। কাঠ ভর্তি বেশ কয়েকটি গাড়ীর ড্রাইভার এবং চালানদারদের সাথে কথা বললে তারা গণমাধ্যমকে জানান, সুয়াগাজি চেক স্টেশনে গাড়ী প্রতি সর্বনিন্ম ২২০০ টাকা থেকে শুরু করে গাড়ির প্রকার এবং মালের ধরণ বুঝে টিপি চেকের নামে মোটা অংকের প্রকাশ্যে চাঁদা দিতে হয় স্টেশনে কর্তব্যরতদের আর টাকা না দিলে তারা বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের মামলার ভয় দেখায় এবং গাড়ী আটক রেখে হয়রানি করেন।

স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,এই সুয়াগাজি চেক স্টেশনে গাড়ি চেকের কথা থাকলেও দেখা যায় গাড়ির আশপাশেও স্টেশনে কর্তব্যরত কোন কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীরা কেউ গাড়ীর সামনে আসেন না। দেখা যায় গাড়ীর ড্রাইভার /হেলপার অথবা চালানদার মালের কাগজপত্র টিপি নিয়ে স্টেশনে গিয়ে টাকা দিয়ে আবার কাগজে সীল সই নিয়ে আসে,স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান,প্রায় সময় দেখি ঘন্টার ঘন্টা গাছের গাড়ি আটক রেখে রফা করে ছেড়ে দেওয়া হয়,আবার মাঝে মধ্যে দেখি রফায় না মিললে গাছের গাড়ির বিরুদ্ধে মামলাও দেওয়া হয়।
সুয়াগাজি চেক স্টেশন কর্মকর্তা নাজমুল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি মাসে কত টাকা বেতন পান। তিনি এতো ছোট পদে চাকুরী করে কিভাবে  ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ব্যবহার করেন এবং এই প্রাইভেটকারটির মাসিক ম্যান্টেনেস খরচ কত?

এই চেক স্টেশনে কাগজপত্র চেকের নামে চাঁদাবাজীর বিষয়ে জানতে চেয়ে সুয়াগাজি চেক স্টেশন কর্মকর্তা নাজমুল এর সাথে সরজমিনে দেখা করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি। পরক্ষণে স্টেশন কর্মকর্তা নাজমুল এর মোবাইল হোয়াটসঅ্যাপে নক দিয়ে স্টেশনে কাগজপত্র চেকের নামে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি কোন প্রকার রিপ্লাইও দেননি।
স্টেশন কর্মকর্তা নাজমুল এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে না পেয়ে কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির এর মোবাইলে একাধিক বার কল সহ তার মোবাইল নাম্বারের হোয়াটসঅ্যাপে তাকে চেক স্টেশনে কাগজপত্র চেকের নামে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানিয়ে নক করা হলেও তিনি কোন প্রকার রিপ্লাই কিংবা মন্তব্য করেননি।
এই অনিয়ম আর কাগজপত্র চেকের নামে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে নিউজ চলবে এবং পরবর্তী অনুসন্ধানে পরের সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে।