নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লার আলেখাচর ও দেবিদ্বার গোপালনগর এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে প্রায় কোটি টাকা মূল্যমানের ২৫ হাজার ইয়াবাসহ ৫ মাদককারবারিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় মাদক কারবারে ব্যবহৃত টয়োটা মাইক্রোবাস সিলভার রংয়ের ১৪টি চুম্বক,দুটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফ করে এ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (বর্তমানে কুমিল্লা উত্তরে অতিঃ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত) শাখাওয়াত হোসেন,
কুমিল্লা ডিএসবির অতিঃ পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান ও কুমিল্লার অতিঃ পুলিশ সুপার (সদর) তানভীর সালেহীন ইমন।
আটক হওয়া মাদক কারবারিরা হলেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই পাচ ধারা গ্রামের মৃত. আমির হোসেনের ছেলে মোঃ হানিফ (৩০), বি-পাড়া উপজেলার বাঘড়া গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম(৩৫)ও নাজমুল মিয়া (২৬), একই এলাকার মৃত. আব্দুল মান্নানের ছেলে রেজাউল করিম (৪২)এবং বি-বাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নয়নপুর গ্রামের মৃত. অহেদ সরকারের ছেলে মোঃ আলাল সরকার (৩০) ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কুমিল্লা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে এলআইসি টিমের চৌকস কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন টেকনাফ সীমান্ত থেকে অভিনব কায়দায় ইয়াবার প্যাকেটের সাথে চুম্বক সংযোগ করে মাইক্রোবাসের সাথে সেট করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে পাচাঁর হবে। এরই ফলশ্রুতিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই তিনটা স্থানে টহল টিম মাদক বহনকারি মাইক্রোবাসটির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌণে ১০ টায় মাদক বহনকারি মাইক্রোবাসটি কুমিল্লার আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় আসার পর ডিবি পুলিশের একটি টিম মাইক্রোবাসটি আটক করে মাইক্রোবাসের পিছনের অংশের বডির তলার সাথে সংযুক্ত অতিরিক্ত চাকার রিংয়ের সাথে ২০ হাজার ইয়াবার ৭টি প্যাকেট চুম্বকের সহিত কসটেপ দিয়ে পেচাঁনো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।এ সময় গাড়ির চালক মোঃ হানিফকে আটক করা হয়।
একই দিন রাত সাড়ে ৮ টায় জেলার দেবীদ্বার উপজেলার গোপালনগর রাস্তায় যানবাহন তল্লাশি করে ৫ হাজার ইয়াবাসহ ৪ জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।