এম শাহীন আলম :
স্বাধীনতার পর থেকে বৃহত্তর কুমিল্লা ও আশ-পাশের জেলা গুলোর লোকজন ভারতীয় ভিসার জন্য চট্টগ্রাম যেতে হতো কেউ কেউ ঢাকাতেও ভিসার জন্য আবেদন করতো। এতে করে মানুষের যাতায়াত ভিসা পাওয়ার বিলম্ব হওয়ার কারনে থাকা খাওয়া সহ চরম ভোগান্তির শিকার হতে হতো ভিসা গ্রহীতাদের। মানুষের ভোগান্তি আর যাতায়াতে কষ্টের কথা চিন্তা করে বহু প্রত্যাশিত কুমিল্লায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারটি চালু হওয়ায় পর কিছুটা সহজ হলেও দালাল চক্রের কারনে বর্তমান ভিসা গ্রহীতাদের চরম হয়রানী আর ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক এর বেশি ভিসা আবেদন জমা হওয়ার কারনে ভিসা গ্রহিতাদের সেন্টারে বাধ্যতামূলক যেতে হয়। ভিসা সেন্টারের নিজস্ব ভবন না থাকার কারনে বর্তমানে ফ্ল্যাট ভাড়া করেই ভিসার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি, ভিসা গ্রহিতাদের চাহিদা থাকলেও গ্রাহকদের বসার জন্য পর্যাপ্ত চেয়ার নেই। ভিসা আবেদনকারীদের দ্বিতীয় তলা উঠার সিঁড়িতে লাইনে দাঁড়াবার ব্যবস্থা থাকলেও এই ভাপসা গরমে মাথার ওপরে কোন বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা নেই। নেই খাবার পানি ও টয়লেট সুবিধা। এতে চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে সেবা গ্রহিতাদের। বিশেষ করে রোগী,বয়স্ক বৃদ্ধ,নারী,শিশু সহ প্রতিবন্ধীদের সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয় কাঙ্খিত কুমিল্লার ভারতীয় ভিসা সেন্টারে।
সরেজমিনে আরো জানা যায়, এই ভিসা সেন্টারটিতে ভিসা গ্রহিতাদের জন্য সকল নিয়ম-কানুন শর্ত প্রযোজ্য থাকলও কিছু দালাল চক্রের কারনে সেবার মান সকল ক্ষেএে চরম ভোগান্তি আর হয়রানিতে ভরপুর, জানা যায়,এই ভিসা সেন্টারটি সরাসরি পরিচালিত ভারতীয় ভিসা সেন্টার নয়। তাই অন্যান্য বিভাগীয় ভিসা সেন্টারের মতো ব্রান্ডিং সব ধরনের সুযোগ সুবিধা এখানে নেই। এটি ষ্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া পরিচালিত ভিসা আবেদন জমাদান সেন্টার। তবে চট্টগ্রাম ভিসা অফিসের অধীনস্থ, জানা যায়,এখানে আবেদন যাচাই বাছাই করে গ্রহণের পর এটি পাঠিয়ে দেয়া হয় চট্টগ্রাম ভিসা অফিসে। তবে টেস্ট স্বরূপ কোথাও পূ্র্ণাঙ্গ ভিসা সেন্টার চালুর আগে এভাবেই ভিসা কার্যক্রম চালায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় ৩ কর্ম-দিবসে ভিসা মিলে বর্তমানেও তাই হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ভিসা আবেদনকারী গণমাধ্যমকে অভিযোগ করে জানান, কুমিল্লার আবেদন চট্টগ্রামে পাঠানোর পর ৭ কর্ম-দিবসে ভিসা দেওয়ার কথা থাকলেও তা বিলম্ব হয় দীর্ঘদিন। এছাড়া এই ভিসা সেন্টারটিতে গ্রাহকদের জন্য সকল নিয়ম কানুন শর্ত বলবৎ থাকলেও গ্রাহকদের সেবার মান একেবারে নাজুক অবস্হা, ভোক্তভোগী আবেদনকারী লোকজন বলেন, দালাল চক্র ছাড়া সরাসরি আবেদনকারীদের অহেতুক শর্তের কারনে চরম হয়রানির শিকার হতে হয়,তবে দালালের মাধ্যমে বেশি টাকা খরচ করে আবেদন করলে হয়রানি থেকে কিছুটি রেহাই মিলে।
ভারতীয় ভিসা আবেদনকারীদের দাবী সেবার মান এবং হয়রানী বন্ধ করা জরুরী। জানা যায়, ভিসা আবেদনে আগে ৬ শত টাকা ফি দিলেও এখন ৮ শত টাকা ফি দিতে হয়। সেবার মান নিশ্চিত করতে ভিসা আবেদনকারীদের ভোগান্তি কমাতে হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-নজর আশা করছে কুমিল্লার মানুষ।