Doinik Bangla Khobor

কুমিল্লায় সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

কুমিল্লা প্রতিনিধি।।

কুমিল্লায় সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-করচারীরা।

আজ মঙ্গলবার ( অক্টোবর) দুপুরে নগর ভবনের গেটে সিটি কর্পোরেশনের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা
নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল আলমের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষ মানববন্ধন করেন।

এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন,দীর্ঘদিন ধরে বিগত স্বেরাচারী সরকারের আমলা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল আলম বিএনপি করার অপবাদ দিয়ে অসংখ্য কর্মচারীকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছে। এর তার অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমের বক্তব্য দেওয়ায় সর্বশেষ অনেকের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন।
ভুক্ত ভোগীরা হলেন,নজির মিয়া,রনি,সুফিয়া আক্তার,জহির মিয়া,জীবন মিয়া,দুলাল হোসেন,জুয়েল রানা, সাগর ও রাকিব।
আমাদের অপরাধ আমরা ওনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় বক্তব্য ও বিএনপির সমর্থক ছিলাম।

বিভিন্ন সূত্র জানা যায়, দীর্ষ ২০ বছরেও কুমিল্লার মায়া ত্যাগ করতে পারেন নি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল আলম। অদৃশ্য এক মায়ায় আটকে আছেন তিনি, পেয়েছেন উপসচিব থেকে যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদা। দূর্নীতির দায়ে বেশ কয়েকবার দুদকের কাছে অভিযোগ যাওয়ার পরেও ক্ষমতাধরদের কারনে বার বার বেঁচে গেছেন এই কর্মকর্তা। ৃ

দীর্ঘ ২০বছর ধরে কুমিল্লার সেটেলম্যান্ট, পরিবেশ, ওয়াশা ও সিটি কর্পোরেশনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সুসম্পর্ক রেখেছে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে। ঠিকাদারদের সাথে সুসম্পর্ক থাকার কারনে পেতেন বিশেষ সুযোগ সুবিধা। করতেন নিয়োগ বানিজ্য, চেক জালিয়াতি, ডোবা-পুকুর ভরাট করে হোল্ডিং নাম্বার প্রদান, ওয়ার্ড সচিবদের চাকরি স্থায়ী করার লোভ দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৩থেকে ৪ লক্ষ্য টাকা। দিয়েছেন অবৈধ ভাবে বিল্ডিং এর প্ল্যানপাশ।

সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও ঠিকাদাররা জানায়, কাজ পাওয়ার জন্য এই কর্মকর্তার ঘরের বাজার পর্যন্ত করে দিতে হতো। তার ঘনিষ্ঠ সহচর তুহিন ও সিটির দক্ষিণ কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারিকে সাথে নিয়ে তার দূর্নীতির সম্রাজ্য চালাতেন শামসুল।

তারাই টাকা পয়সা খরচ করে তাকে এতদিন ধরে রেখেছেন এই চেয়ারগুলোতে। বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। শামসুল নিজের ও স্ত্রী নামে করেছেন কোটি টাকার সম্পদ। উনার স্ত্রী গ্রামীন ফোন কম্পানীতে চাকরি করার কারনে কল রেকর্ড ফাস করে ব্ল্যাকমেইলের হুমকীও দিতেন যারা প্রতিবাদ করতেন তাদের।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন,আমার বক্তব্য কোন সুযোগ নেই, আমার বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে সম্পূর্ণ মিথ্যা।