লুৎফুর রহমান রাকিব চৌধুরী,কুমিল্লা থেকে :
কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১১নং চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের নোয়াপুর গ্রামের ইউনুস মজুমদারের বড় মেয়ে মোসাৎ:তাহমিনা আক্তার পিনুর আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত স্বামী মো ইফতেখারুল আলম রাসেলের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি দাবী করছি।কোনরুপ টালবাহানা না করে এঘটনায় সঠিক তদন্ত করে অপরাধীতে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে করে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হয় এবং ভবিষ্যতে আর কোনো বাবা-মাকে অকালে কান্না না করতে হয়।যেন কন্যা সন্তানের এমন কষ্ঠদায়ক অপমৃত্য সই বেনা হয়।মামলার সূত্রে জানা গেছে তিন বছর আগে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের মোঃ ইউনুসের মেয়ে তাহমিনা{ ২৯} সাথে পাশ্ববর্তী কনকাপৈত ইউনিয়নের কালকোট গ্রামের ওয়ালী উল্লাহর ছেলে ইফতেখারুল আলম মজুমদার রাসেল{ ৩৫}এর সাথে ৫লাখ টাকা দেনমোহরে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরেই নিজ ব্যবসা প্রসারিত করার জন্য টাকার প্রয়োজন দেখা দিলে রাসেল তার স্ত্রী তাহমিনাকে বাবার বাড়িতে থেকে টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তাহমিনার প্রবাসী পিতা ইউনুস বিভিন্ন সময় প্রায় ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাসেলকে প্রদান করে। এরপরেও স্বামীর ঘরে শান্তিতে বসবাস করতে পারেনি গৃহবধূ তাহমিনা আরও টাকার জন্য রাসেল বিভিন্ন সময়ে তাহমিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।তাহমিনা মজুমদার অায়ান নামে ১৩মাস বয়সী একমাত্র সন্তানের কথা চিন্তা করে নানা প্রকার নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর সংসার করে আসছিলো।গৃহবধূ তাহমিনা লাশ তার শয়ন কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া য়ায়।