কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন

শিক্ষা

বিশেষ প্রতিনিধি :
বাঙালি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা এবারো মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বর্নিল আলোকসজ্জা, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিজয় র‌্যালী, ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, র‌্যাফেল ড্র, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা। বীর বাঙ্গালীর অহংকার বিজয় মাসের প্রথম দিন বুধবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ৪ টায় শিক্ষা বোর্ডে প্রাঙ্গণ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.আবদুস ছালাম।
বিজয় দিবস-২০২১ উদযাপন দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ও শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ আবদুল খালেকের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বেলুন উড়িয়ে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হয়। পরে প্রীতি ভলিবল খেলার মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ কলেজ পরিদর্শক বিজন কুমার চক্রবর্তী, উপ-সচিব (প্রশাসন) শাহাব উদ্দিন, উপ-সচিব (একাডেমিক) মো.সাফায়েত মিয়া, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হাবিবুর রহমান, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শফিকুর রহমান, বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, উপ বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ জাহিদুল হক, কর্মচারী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন প্রমুখ।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রফেসর মো.আবদুস ছালাম বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃতে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই মাসে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে বহু আগেই সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মান হতো। তবে অনেক বাঁধা বিপত্তির মাঝেও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সেই লক্ষ্যের সারথী হতে চাই। মুজিববর্ষকে নতুন প্রজন্মের মাঝে স্বরনীয় করে রাখতে চাই। এবারের বিজয়ের মাস উদযাপিত হচ্ছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। মুজিবজন্মশত বর্ষে সাম্প্রদায়িক শক্তির ধারক-বাহকদের প্রত্যাখ্যান করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রত্যয়ে সবাইকে উজ্জীবিত হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.