কুমিল্লা সদর প্রতিনিধি :
চালানো হতো ভয়ানক নির্যাতন, শিকলে আটকে রাখা হয় সুস্থ মানুষকে
গোপনে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এর যৌথ ভ্রাম্যমান আদালত আজ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে মধ্যপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কোনো সরকারী অনুমোদন ছাড়াই মানসিক চিকিৎসার নামে রোগীদের শারীরিক নির্যাতন করা, দুর্গন্ধময় পরিবেশে রোগীদের শিকলে বেঁধে আটক রাখা, তীব্র শীতের মধ্যেও রোগীদের পুকুরে নেমে গোসল করতে বাধ্য করানোসহ নানা রোমহর্ষক অভিযোগ করে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী। অভিযানের সময় প্রতিটি অভিযোগের সত্যতা মিলে। এসময় সুস্থ রোগীকেও অসুস্থ হিসেবে আটক রাখা, মানবাধিকারের চরম লংঘন, অতি নিম্নমানের খাদ্যসরবরাহ, অননুমোদিত ঔষধ রাখা ও অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠান চালানোর দায়ে বাড়ির মালিককে অভিযুক্ত করা হয়।
বিজ্ঞ আদালত বাড়ির মালিককে বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও রোগীদেরকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাদের স্ব স্ব অভিভাবকগণের কাছে পৌঁছে দেয়া সহ ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করার মুচলেকা আদায় করা হয়।জেলাপ্রশাসনের বিজ্ঞ মেজিষ্ট্রেট জনাব মাজহারুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৌমেন রায়।