এম শাহীন আলম :
আসছে আগামী ২৮ নভেম্বর-২০২২ কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে,এরেই ধারাবাহিকতা চেয়ারম্যান,মেম্বার প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে দৌড় ঝাঁপ সহ সর-গরম পোস্টার পেস্টুনে চেয়ে গেছে উপজেলার ৫ ইউনিয়ন এলাকা,ইতি মধ্যে এই ইউনিয়ন নির্বাচনে সকল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ভোট গ্রহণের সামনে মাএ কয়েকদিন,
সকল ইউনিয়ন ন্যায় উপজেলার পূর্ব জোরকানন ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ছাড়াও আরো একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়ে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় উর্ওীণ হয়ে নির্বাচনী মাঠে সরব রয়েছেন যারা,তাদের মধ্যে একজন হলেন "দুইটার পর চেয়ারম্যান খ্যাত" পুনরায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান মো.হারিছ মিয়া,যাকে নিয়ে পূর্ব জোরকাননের বেশিরভাগ ভোটার সমর্থকদের মুখে সমালোচনার ঝড়,এলাকার মানুষের মুখে মুখে একটাই কথা গত পাঁচ বছরে হারিছ চেয়ারম্যানকে নাকি এলাকার জনগণের ঠিকভাবে বিপদে আপদে কাছে পাননি, তিনি নাকি দুপুর দুইটার পর ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদে আসতেন না,পূর্ব জোরকানন এলাকার ভোটার সমর্থকরা জানান,এই হারিছ চেয়ারম্যান গত পাঁচ বছরে এলাকার উল্লেখযোগ্য তেমন কোন কাজ বা উন্নয়ন করেননি,এলাকার সচেতন মহলের অভিযোগ এই হারিছ, চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় এলাকার মাদক ব্যবসায়ী,চোরাকারবারিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন, বর্তমানে পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় ঘরে ঘরে মাদকের আখড়া যা তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছেন,মাদক সন্ত্রাস সহ কোন অপরাধ মূলক কাজ নিয়ন্ত্রণে এই হারিছ চেয়ারম্যান কোন পদক্ষেপ কিংবা উদ্যোগ গ্রহণ করেননি এবং কোন প্রকার ভূমিকা রাখেননি বলে তার নির্বাচনী এলাকার মানুষ সাংবাদিকদের জানান,
পূর্ব জোরকানন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড যেমন মথুরাপুর,নির্ভয়পুর,লালবাগ এলাকার ভোটার সমর্থকদের সাথে কথা বললে তারা গণমাধ্যমকে জানান,এই হারিছ মিয়া, চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তাকে এলাকার মানুষ কাছে পায়নি,তিনি সারাক্ষণ তার ব্যক্তিগত কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন এবং ইউনিয়ন এলাকায় তার ইচ্ছা মতো আসতেন,ইউনিয়ন এলাকার মানুষ জানান,এই হারিছ মিয়াকে কখনো বিকাল ছাড়া সকালে পরিষদে পাওয়া যেতো না,আর তিনি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদে মানুষের হয়রানির শেষ ছিলো না,হয়রানির বিষয়ে ওনাকে কিছু বলে মানুষ কখনো কোন বিষয়ে কোন প্রতিকার পাইনি বলে অভিযোগ করেন,
এলাকার মানুষ জানান,ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান সনদ,প্রত্যয়ণপএ,জন্ম নিবন্ধন,মৃত্যু সনদ,ওয়ারিশ সনদ মতো কিছু নিতে গেলেই সরকারি ফি ছাড়াও বারতি টাকা দিতে হতো,এবং হয়রানি তো কত প্রকারও কি কি তা বলে শেষ করা যাবে না,আর ভোক্তভোগীরা জানান,ইউনিয়নে বিভিন্ন ভাতা রেশন তিনি তার পচন্দ মতো এবং তার আপন লোকদের মাঝে বন্টন করতেন,তাহলে এতো অনিয়ম করার পর তিনি কিভাবে এখন আবার পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী হন,তার কার্যকলাপে তাকে আর পূর্ব জোরকানন ইউনিয়ন বাসী চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় না,যাকে দিয়ে মানুষ সেবা পায় না,যিনি শহরে তার ব্যক্তিগত কাজে সব সময়ে ব্যস্ত থাকেন,তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে চান না বলে বলে এলাকাবাসী জানান,
পূর্ব জোড়কানন ইউপি এলাকার জনগনের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চেয়ে হারিছ (সাবেক)চেয়ারম্যান কে তার মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি, পরবর্তী অনুসন্ধানে পুনরায় পরের সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে