নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা-সোনামুড়া নৌপথ আজ চালু হলো
দাউদকান্দি হতে নৌপথে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া পণ্য যাবে।
এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কুমিল্লা এবং ভারতের সোনামুড়া নৌপথে পণ্য পরিবহন চালু হয়। আজ শনিবার বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি হতে নৌপথে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া পণ্য যাবে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, এই নৌপথ চালু হওয়ার মধ্যে দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সুবিধার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করেন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন মহলের লোকজন।
জানা যায়, কুমিল্লার দাউদকান্দি, তিতাস, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, বুড়িচং ও আদর্শ সদর উপজেলার বুক চিড়ে বয়ে গেছে ৯২ কিলোমিটার গোমতী নদী। এর মধ্যে প্রায় ৮৯.৫ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে এবং অপর অংশ ভারতের। আজ শনিবার এ নদী দিয়ে দাউদকান্দি হতে নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে ৫০ মেট্রিক টন (এক হাজার বস্তা) সিমেন্ট বোঝাই চালান যাবে ভারতের ত্রিপুরায়। পরে ত্রিপুরার সিপাহীজালা জেলার সোনামুড়া এলাকায় খালাস করা হবে এ সিমেন্ট। এজন্য সোনামুড়ায় একটি ভাসমান জেটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে সরকারি আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে এ চালান গ্রহণ করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) একটি সূত্র জানায়, গোমতী নদীতে বর্ষা মৌসুমে ২ থেকে ৩ মিটার প্রবাহের পানি থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে নদীতে কোথাও কোথাও এক মিটার পানি থাকে। তবে দুই দেশের মধ্যে নৌপথে পুরোদমে বাণিজ্যিকভাবে নৌ-চলাচল শুরু হলে নৌ যান চলাচলের উপযোগী করতে নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজিং করতে হবে।
সূত্রটি আরও জানায়, এই নদীর উপর ছোট-বড় অন্তত ২৩টি কম উচ্চতার সেতু থাকায় পণ্যবাহী বড় জাহাজ চলাচল করতে পারবে না। ফলে ছোট জাহাজে করেই পণ্য আমদানি-রপ্তানির কাজ করতে হবে
ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন।এই নৌ-পথ চালু হওয়ার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে আরও একটি বাণিজ্যিক দুয়ার উন্মোচিত হলো। এতে দুই দেশের বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক আরও জোড়ালো হবে বলে মনে করি।
বাপাউবো পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. জহীর উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এ নদী ড্রেজিংয়ের জন্য ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিআইডব্লিইটিএ। এছাড়া তাদের একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। নৌ পথে রপ্তানি শুরু হলে নদীর বেড়িবাধের সুরক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করবে।