সুমাইয়া আক্তার শিখা :
কুষ্টিয়ায় এই বছর পাটের দাম মোটামুটি সন্তোষজনক। পাটের এমন বাড়তি দাম পেয়ে কম ফলন পেয়েও পাট চাষিরা অত্যন্ত খুশি আছেন। খরার কারণে প্রতিবছরের তুলনায় এবার পাটের ফলন কিছুটা কম হলেও বাজারে পাটের দামের কারণে এর প্রভাব পড়ে নি বলে জানান কুষ্টিয়ার পাট চাষিরা।
পাটচাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষে খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এবং বিঘাপ্রতি ফলন হয় ৮-১০ মণ পাট। এবছর ২ হাজার ৮ শত টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ পাট। যা গত বছর বিক্রি হয়েছিল মণপ্রতি ১ হাজার ৬ শত টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়। চলতি বছরে পাটের এমন মূল্য বৃদ্ধি হওয়াতে লাভবান হচ্ছেন পাটচাষিরা। পাটের নায্যমূল্য পেয়ে চাষিরা অনেক বেশি খুশি।
উল্লেখ্য যে পাট একসময় বাংলাদেশে সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পাটের এই বাণিজ্যিক বাজার ধীরে ধীরে থমকে দাড়ায়। ফলে চাষিরা অনাগ্রহী হয়ে পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এবার এমন দাম বৃদ্ধিতে নতুন উৎসাহ পাচ্ছেন পাট চাষিরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসূত্রে জানা গেছে, এবছর কুষ্টিয়া জেলায় ১ লাখ একরের অধিক জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পাট চাষিদের জন্য সরকারের বিশেষ আর্থিক প্রণোদনাসহ নানাবিধ উদ্যোগেই পাটের বাজারের এমন উন্নতি বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।