ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি :
খুলনার দাকোপ উপজেলা কৃষিতে উন্নত। এখানে প্রায় বারো মাসই বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়। তারমধ্যে তরমুজ চাষে খ্যাতি অর্জন করেছে এই দাকোপ। আর এই অর্জনের পিছনে কৃষি অফিসের ভূমিকা কম নয়। কৃষিবান্ধব এই সরকার কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে সার ও কৃষি সরঞ্জামের মাধ্যমে কৃষকদের সাহায্য করছে। কিছু অসাধু ডিলার বিভিন্ন পলিচির মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি ও ভেজাল পণ্য সরবরাহ করে কৃষকদের ক্ষতি করছে। সম্প্রতি কম্বাইন হার্ভেস্টার কৃষকের মাঝে বন্টনের নামে অন্য অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে বাজুয়া নিবাসী কিংকর সরদার পিতা কালিপদ আই,ডি,নং-৪৭১১৭১০৪৯০৮২৪, মোবাইল নাম্বার ০১৭১৬৫৮৯৬৭৩ এর সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করলে অপূর্ব সরকার পিতা - দীনেশ নামে একজন মিথ্যা পরিচয় দিয়ে কথা বলে। রজব আলী গাজী,পিতা মালেক বলেন, " অপূর্ব সরকার আমার ড্রাইভার তাকে ১৫ হাজার টাকা বেতন দেই। সেই আমার গাড়ি চালায়" । লিস্টে দেওয়া মোবাইল নাম্বার কার জানতে চাইলে রজব আলীর বৌমা বলে," ও নম্বর আমার শ্বশুরের নয়, অপূর্বর" । রজব আলীর স্ত্রী বলেন," আমরা কিছু জানি না। আমার স্বামী সহজ সরল। তাকে ভুল বুঝিয়ে অপূর্বই সবকিছু করেছে" । মুঠোফোনে অপূর্ব সরকার বলে, গাড়ি দুটো আমার না তবে আমি ব্যবহার করছি। আমার পিছনে লেগে কোন লাভ হবেনা" । কিছু কৃষক বলে," আমরা ঐ মেশিন এলাকায় কাজ করতে দেখিনি।তবে রাস্তা দিয়ে ট্রাকে নিতে দেখেছি এবং লাউডোব ফেরীতে বানীশান্তা ইউনিয়ন পরিষদ আটকে দিয়েছিল বাজুয়া সঞ্জয় মেম্বরের নামের গাড়ি ,তাও শুনেছি। দাকোপে এই গাড়িতে কৃষকের কোন উপকার হয় না শুধু সরকারি ভূর্তকী যাচ্ছে" । সচেতন মহল জানায়, " আপনারা এর দোষ ওর দোষ দিচ্ছেন আসলে কৃষি কর্মকর্তা সবই জানে। তার বিনা ইঙ্গিতে কিছুই হয়না " । দাকোপের কৃষকগোষ্ঠি তরমুজ মৌসুমে সারের দাম বৃদ্ধি সহ ভেজাল পণ্য সরবরাহ তথা কৃষি যন্ত্রপাতি সঠিক বন্টনে দালালদের দৌরাত্ম বিষয়টা বিবেচনায় আনতে বিনম্র আহ্ববান জানান।