বিশেষ প্রতিনিধি :
খুলনার রূপসা উপজেলার ৩ নং নৈহাটি ইউনিয়নের জাবুসা গ্রামের ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ,মাদক ব্যবসায়ীও একাধিক অপকর্মের হোতা রাজু শেখ, মাস্তান ফরিদ, রনি শেখ, মানিক সহ তাদের একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক গত গত ৮ জানুয়ারী-২০২৪ ইং তারিখে সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন এর পরিবারের উপর অতর্কিত হামলার চালায়। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক খুলনা পুলিশ সুপারকে মুঠোফোনে জানালে রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসির নির্দেশে রূপসা ঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই কামাল হোসেন উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরদিন থানার নির্দেশ উপস্থিত থেকে নিরুপায় হয়ে থানায় পৃথকভাবে জিডি ও অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন। একদিকে পূর্ব থেকে অত্র অঞ্চলের অসংখ্য অসহায় মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায়ীর সাথে জড়িত থাকায় এদের বিরুদ্ধে একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্র পত্রিকা রিপোর্ট প্রকাশ অন্যদিকে থানায় জিডি ও অভিযোগ দায়ের করায় সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীনকে ফাঁসাতে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, সংবাদ প্রকাশের জেরে সন্ত্রাসীরা মিথ্যা মামলায় যে অভিযোগ এনেছে তাতে স্বাক্ষীগণ সবাই মামলাবাজ রাজু শেখের নিজস্ব লোক। পূর্ব থেকে সাজিয়ে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা টাকা চাওয়া এবং এলাকার মেম্বারের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষরে অনুপ্রাণিত করা এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তাদের দায়েরকৃত মামলায় যে সময় দেখানো হয়েছে সে সময় সাংবাদিক ঐ স্থানেই ছিল না। গত ০৮/০১/২৪ ইং তারিখ থেকে সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন খুলনা মহানগরে জীবন বাঁচাতে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে গত ০৯/০১/২৪ রুপসা থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল যার জিডি নং-৪৭৫। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক পত্র-পত্রিকায় সংবাদটি ছাপা হয়েছিল। অর্থ্যাৎ সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন এর সাথে উক্ত বিষয়ে কোন সম্পৃক্ততা নাই যা সঠিক তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইতিপূর্বে ইউপি সদস্য মোঃ বাবর আলী, মোঃ রাজু শেখ, রনি শেখ, ফয়সাল শেখ, মানিক জোমাদ্দার, রিমন, জিয়াউর রহমান জিয়া, হাবিবুর রহমান ওরফে হাবি ট্যারাসহ একাধিক চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছি। তার জের ধরে আমার বাড়ীতে হামলা করে স্ত্রীকে মারধর করে পরদিন থেকে আমি খুলনা শহরে অবস্থান করে আসছি। ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন সহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তারাও জানেন। আর যাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তাদেরকেই সাক্ষী বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। একদিকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে রয়েছি অন্যদিকে পুলিশ পাঠিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে গত ২৫/০২/২৪ ইং তারিখে সংবাদ প্রকাশের পর বহু অপকর্মের হোতা মোঃ রকিবুল ইসলাম রাজু বাদী হয়ে খুলনা দ্রুত বিচার আইনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ আদালত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে পিবিআই কে তদন্ত করে আগামী ১৫/০৪/২৪ ইং তারিখের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আমি আমার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলার সুস্থ তদন্তের দাবি জানাই। তাছাড়া ইতিপূর্বে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েও তারা তাদের ভাড়াটে কিশোর গ্যাং দিয়ে গত ২৯/০২/২৪ ইং তারিখে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মানববন্ধন করে অপপ্রচার ছড়ালেও সত্যতা জেনে জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক পত্র-পত্রিকায় সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন এর পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করে। সর্বশেষ আমার আম্মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় পরিবারের সকলে সেখানে অবস্থান করি এ সুযোগে গত ২১/০৩/২৪ ইং তারিখ রাত আনুঃ ১০ ঘটিকার সময় বাড়ীতে কেউ না থাকার স্বত্বেও রাজু বাহিনীর সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালায়। স্থানীয় লোকজন চলে আসায় তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এ ঘটনায় পুনরায় গত ২৮/০৩/২৪ ইং তারিখে রূপসা থানায় জিডি করা হয়েছে যার জিডি নং-১৫৩৬। একদিকে পিবিআই ভুক্তভোগী সাংবাদিককে ডেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি নিয়ে কোন তথ্য না দেখে চলে যেতে বলেন অন্যদিকে পিবিআই তদন্তে গেলে চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ীদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিতে বাধ্য করানোর মতো অপরাধের তথ্য পাওয়া গেছে। এভাবে সন্ত্রাসীরা তাদের অবৈধ অর্থ আর অদৃশ্য শক্তির জোরে অসহায় মানুষের পাশে থাকা একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীনকে যেন তাদের সাজানো মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির না করতে পারে এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসী দাবি জানান।