মোঃ আলী সীমান্ত :
গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘঠেছে। এঘটনায় বাধা দিতে গেলে নারীসহ তিন জনকে মারপিট করে আহত করে দুর্বৃত্তরা। আহতদেরকে গাজীপুর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার ৭ জুন সকালের দিকে বোলডোজার দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ঘরবাড়ী ভাংচুর করে রাশেদুল হোসেন খান রাজিবসহ ৩০ থেকে ৪০ জন একটি সন্ত্রাসী দল। এসময় তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সজিজ্জত হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলা চালায় । হামলার স্বীকার নাদিরা হক ডলি জানান, জন্মের পর থেকে প্রায় ৫০ বছর ধরে ৫৬ শতাংশ জমির উপর আমরা বসবাস করে আসছি। আমার বাবা ইউনুস আলী খান ওই জমি আমার মায়ের নামে দলিল করে দেন। আমরা ৫ বোন মায়ের ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে ওই জমিতে ঘরবাড়ী করে বসবাস করে আসছি।
আমার বাবার মৃত্যুর পর রাশেদুল হোসেন খান রাজিব নামে এক ব্যাক্তি বিভিন্ন ভাবে পায়তারা শুরু করে ওই জমি দখল করার জন্য। কোনভাবেই জমি দখল করতে না পেরে গতকাল সকালে এসে, রাস্তায় কাজ করা বোলডুজার দিয়ে ঘরবাড়ী ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা জিনিস পত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। কেউ তার ভয়ে মুখ খুলতে চায়না।
হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে এস. কে. এম এনামুল হকের স্ত্রী নাদিরা হক ডলি ( ৪২) ও তার ছোট বোন জামাই নজরুল ইসলামকে মারপিট করে আহত করে। প্রতিবেশী সজিব খন্দকার বলেন, রাশেদুল হোসেন খান রাজিব
গত ৫ মাস আগে আমার নিজ বাড়ীতেও একই কায়দায় হামলা চালিয়ে লুটপাটসহ বাড়ী ভাংচুর করে এবং আমার মা ও স্ত্রীকে মারপিট করে আহত করে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং,জমি দখল,মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। শুধু তাই নয় এই এলাকায় ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে সে। যে তার কথার অবাধ্য হয়েছে তার উপর নেমে এসেছে পৈশাচিক নির্যাতন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
অন্যদিকে রাসেদুল ইসলাম খান রাজিব এর স্ত্রী জানায়, আমার স্বামী কোন প্রকার সন্ত্রাসী হামলা চালায় নি। তারা আমাদের সম্পর্কে আত্মীয় হয়। আমরা তাদের কাছ থেকে কিছুদিন পূর্বে ৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি কিন্তু ক্রয় করা হলেও তারা আমাদেরকে জমি বুঝিয়ে দেয় না যার ফলে আমরা থানায় একটি জিডি ৫৬/২০২০ করি। তারা আমাদেরকে ক্রয় কৃত জমি না বুঝিয়ে দেওয়ার কারণে আমার স্বামী যখন জমি বুঝে নিতে যায় তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এতে করে আমার স্বামী আহত হয় এবং তাকে সাভার সিআরপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে কথা হয় স্থানীয় কাউন্সিলর মীর আসাদুজ্জামান তুলার সাথে তিনি বলেন, যাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে তারা আসলে নিরহ মানুষ। এদের উপর এ হামলার তীব্র নিন্দ্রা জানাই। বিষয়টি
সম্পর্কে পুলিশ প্রশাসন অবগত আছেন ইতিমধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
এব্যাপারে কোনাবাড়ী জোনের উপ-সহকারী পুলিশ কমিশনার আহসানুল হক জানান,ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।