মানসুরা আক্তার কাকলী :
গাজীপুর জেলা কাশেমপুর থানার মধ্যকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন কে কেন্দ্র করে ৯ ই মে শনিবার সকাল আটটা থেকে ডরিন গার্মেন্টস এবং বেঙ্গল গার্মেন্টসের শ্রমিকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমণে আহত হয়েছেন অগণিত পথযাত্রী।
শ্রমিকদের আন্দোলনে মহাসড়কের বাস মিনিবাস ট্রাক ট্যাক্সি ভাঙচুর হয়েছে অগণিত যানবাহন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মী ১০থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন ভাঙচুর করা হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের গাড়ি ক্যামেরা মোবাইল ফোন ইত্যাদি সরঞ্জামাদি। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।
একটানা তিন ঘন্টা অবধি জিরানি চক্রবর্তী মহাসড়কে শ্রমিকদের ইট-পাটকেল লাঠিসোটা লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে পাল্টা পাল্টি আক্রমণ হতে থাকলেও। প্রশাসন ছিল নীরব, শ্রমিকদের তোপের মুখে প্রশাসন পদক্ষেপ নিলে শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রশাসনকে ধাওয়া করে। প্রশাসন ফাঁকা গুলি করতে করতে এবং টিয়ারসেল ছড়াতে ছড়াতে শ্রমিকদের ছন্নছাড়া করতে বাধ্য হন। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন।
সব মিলিয়ে গার্মেন্টস মালিকদের জন্য গাজীপুর জেলা সহ সারাদেশে করোনার চাষ হচ্ছে এই চাষ যদি একই ভাবে চলতে থাকে। গণমাধ্যমকর্মীদের ধারণা সারা বাংলাদেশ করোনার বাম্পার ফলন ফলতে পারে।
প্রশাসনের উপস্থিতিতে ডরিন গার্মেন্টসের মেইন গেট ভাঙচুর করতে দেখা দিলেও,প্রশাসন ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
সাধারণ শ্রমিকদের বক্তব্য অনতিবিলম্বে যদি সকল শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার না দেওয়া হয় সারা বাংলাদেশের শ্রমিক একত্রিত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রশাসন ও শ্রমিকদের মধ্যে অগণিত আহত দেখা গেছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি প্রশাসন।