মোঃ রিপন মিয়া :
গাজীপুর মহানগর কাশিমপুর মেট্রো থানার সারদাগঞ্জ সুলতান মার্কেট
কাশিমপুর প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক কাজী ফয়সাল স্বনামধন্য সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়
গত ২৫ এপ্রিল রবিবার রাত আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটে সারদাগঞ্জ সুলতান মার্কেট এলাকার ডানা রোডের জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে সন্ত্রাসীরা কাশিমপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল কাজীর উপর হামলা করে।
এব্যাপারে কাশিমপুর থানায় একটা মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহার থেকে জানা যায় যে, সাংবাদিক ফয়সাল কাজী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে বাসায় ফেরার পথে সারদাগঞ্জ সুলতান মার্কেট এলাকার ডানা রোডের জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে পশ্চিম শৈল ডুবি এলাকার মোঃ শমসের আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরফে জহর আলী (৩৫), মোঃ রফিক মুন্সির ছেলে আবু নছর (৩২), সারদাগঞ্জ সুলতান মার্কেট এলাকার মোঃ আঃ হাই এর ছেলে মেজবাহ (৩৮) সহ ৪/৫ জন সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তিনি গালিগালাজ বন্ধ করতে বলায় সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম ওরফে জহর আলী, মেজবাহ, আবু নছরসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাংবাদিক ফয়সালকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড ও কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত করে এবং তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে এবং রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে লোক মারফত খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষাযিত হসপিটালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে কাশিমপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ মনির হোসেন মন্ডল বলেন, সন্ত্রাসীরা যত বড় শক্তিশালী হউক না কেন কোন ছাড় দেওয়া হবে না। সাংবাদিক ফয়সালের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে দোষী ব্যক্তিদের আাইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এবিষয়ে কাশিমপুর থানার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবে খোদা বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। অতিদ্রুত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে।