বাউফল প্রতিনিধি।।
ব্যাংক থেকে বর্গাচাষী ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহন করে গাভী গরু পালনে নারী কৃষক জেসমিন বেগম ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। ৬০ হাজার টাকার ১ টি গরু বর্তমানে ছায়ে-মায়ে ৪ টি গরু তার খামারে রয়েছে। যার বর্তমান মূল্য দেড় লক্ষাধিক টাকা। বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরডিয়ারা ব্রীজঘাট বসতি তার।
মাঝবসয়সী জেসমিন বেগম। স্বামী জহিরুল ব্যাপারী। ৪ ছেলে মেয়েসহ পরিবারে ৬ জন সদস্য। পেশায় ক্ষুদ্র বর্গাচাষী। তেতুঁলিয়া পাড়ে বসতী কৃষি কাজে পাশপাশি নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ব্যাংক থেকে ঋণ টাকা দিয়ে গরু ক্রয় করে। সেই গরু দুধ বিক্রি করে ঋণ টাকা পরিশোধ করে পুরো গরু মালিক আজ।
কথাগুলো বেশি দিনের না। উন্নয়ন সংস্থ্ াএএলআরডি (মিজেরিয়া) প্রকল্পের অধীনে বাউফল বর্গাচুক্তি মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকের ব্যাংক ঋণ প্রদান শীর্ষক সেমিনারে অংশগ্রহন করে জেসমিন। অর্ধবেলাব্যাপী আয়োজিত সেমিনার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও একাধিক ব্যাংক ম্যানেজার দেওয়া তথ্য মনোযোগ সহকারে শোনে থাকে। প্রতিশ্রæতি গ্রহন করেন ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ গ্রহন করার জন্য। যেমন সিদ্ধান্ত তেমন কাজ। পরে সপ্তাহ বাউফল উপজেলার একাধিক ব্যাংক যোগাযোগ করে। কৃষি ব্যাংক চাষীদের ঋণ প্রদান করে জানতে পেরে ওই ব্যাংক যোগাযোগ করেন। ব্যাংক ম্যানেজার তার পরিচয় জানতে চায়। ব্যাংক কর্মকর্তা সাথে কথা বলে পরামর্শ প্রদান করেন তার এলাকা বাউফল শাখা কৃষি ব্যাংক সাথে যোগাযোগ করার জন্য।
যোগাযোগ করে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের পার্শ^বর্তী বন্দর কালাইয়া শাখা কৃষি ব্যাংকে। প্রথমত ওই ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারী নারী বলে তাকে তোয়াক্কা না করলেও হাল ছাড়েনি জেসমিন বেগম। কৃষি ব্যাংক কয়েকদিন যান। একপর্যায় ব্যাংক তার পরিচয় জনতে চান। তার আগ্রহ দেখে প্রয়োজনীয় দলিল নিয়ে যেতে বলেন। জেসমিন বেগম স্বামী জহিরুল ব্যাপারী নামে দলিল নিয়ে যান।
দলিল দেখার পার তার সাথে আলোচনা এবং বাড়ির খোজ খবর নিয়ে পরের সপ্তাহ যোগাযোগ করেতে বলেন, লেগে থাকলে মেগে খায় প্রমান দেখিয়ে দিলেন জেসমিন বেগম। পরের সপ্তাহ ছবি, পরিচয়পত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করেন। ব্যাংক তার নামে একটি হিসাব খোলে ৬০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করেন। ওই সপ্তাহ কালাইয়া বাজার । বাজার দিন ঋন নিয়ে একটি গাভী গরু ক্রয় করেন। ভাগ্যের মরা মাছ জীবিত হয় গ্রামের প্রবাদ বাক্যটি জেসমিন ভাগ্য ফিরে গেলে ক্রয় কৃত গরুটি পরের দিন গাভীন হয় এবং বর্তমান ছায়মায়ে ৪টি গরু। যার বাজার মূল্য দেড় লাখ টাকা।
তথ্য সংগ্রহকালে জেসমিন মিচকী হাসি দিয়ে বলেন, আমার এলাকায় ভূমিহীনদের নিয়ে একটি জন সমবায় দল রয়েছে। বাউফলে সেমিনার থেকে অর্জিত ধারনা নিয়ে আজ আমি দেড় লাখ টাকার মালিক। ব্যাংক আমাকে যোগাযোগ করতে বলেছে। আগামী দিনে আমি একা ঋণ নিয়ে ভাগ্য বদলে সন্তোষ্ট নয়। আমি চাই দলীয় সদস্যদের মধ্যে চাষী ঋণ বিতরন করতে । যুব উন্নয়ন থেকে হাসমুরগী পালন উপর প্রশিক্ষন সম্পন্ন করেছি। এই সার্টিফিকেট মাধ্যমে ঋণ বিতরন করব বলে প্রত্যাশা করছি। স্পিড ট্রাস্ট সহযোগিতায় পরিচালিত ব্রীজঘাট জন সমবায় দলের সক্রিয় সদস্য। বর্তমানে ওই দলীয় লীডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। তিনি উপজেলা পর্যায় বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে এলাকায় ভূমিহীন প্রান্তিক কৃষকদের সরকারি সেবা সার বীজ, প্রশিক্ষনসহ নানা ভাবে সহযোগিতা করে আসছে।