আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাবেক এক সহযোগী গোপনে ইসরাইল সফর করেছেন। এসময় ইহুদিবাদি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি।
ইসলামাবাদের একটি গোপন সূত্রের বরাতে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ‘ইসরাইল হায়ম’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এ খবর অস্বীকার করেছেন ইমরান খানের সাবেক বিশেষ সহকারী সাইয়েদ জুলফি বুখারি। খবর ডনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বুখারী তার ব্রিটিশ পাসপোর্টের সুযোগ নিয়ে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। এ সময় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা তিনি ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠান। পাশাপাশি পাকিস্তান সেনাপ্রধানের আলাদা একটি বার্তা তৎকালীন মোসাদ প্রধানের বিদেশে পৌঁছে দেওয়া হয়।
সাইয়েদ জুলফি বুখারি একজন ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত তিনি বিদেশে ইমরান খানের বিশেষ সহকারী হিসাবে কাজ করতেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বুখারি ইসলামাবাদ থেকে বিমানে ইসরাইলে এসেছিলেন। তিনি তেল-আবিবেও গিয়েছিলেন। আরব দেশগুলোর চাপে পাকিস্তান-ইসরাইলের মধ্যে ওই বৈঠক হয়েছিল। তবে টুইট করে বুখারি এই খবরকে অস্বীকার করেছেন।
তার দাবি, ‘আমি ইসরাইল যাইনি। পাকিস্তানের সংবাদপত্র বলছে আমি ইসরাইল গিয়েছিলাম যেটা তারা ইসরাইলের সূত্রে জেনেছেন। আবার ইসরাইলের সংবাদমাধ্যমের দাবি তারা নাকি পাকিস্তানের সূত্রে জেনেছেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় যে, পাকিস্তানের সূত্রটা আসলে কী?’
প্রসঙ্গত, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে কয়েকটি আরব রাষ্ট্র বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আছে সৌদি আরবও। চাপ সৃষ্টির অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানের নাগরিকদের শ্রম ও ভ্রমণ ভিসা ইস্যু করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে ইসরাইলি গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছিল মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশ থেকে একজন সিনিয়র পরামর্শদাতা ইসরাইলে গোপন বৈঠকে এসেছেন। কিন্তু দু’দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সেই সময় কোনো দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে এবার সেই দেশের নাম যে পাকিস্তান তা উল্লেখ করেছে সংবাদপত্রটি।