মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, বরগুনা থেকে :
এক সময়ে বরগুনার ভারানি খালকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এই শহর বরগুনা।
দূর-দূরান্ত থেকে এখানে আসতো সারি সারি পাল তোলা নৌকা। ব্যবসায়ীরা নৌকাযোগে বিভিন্ন হাট-বাজার বা উপজেলা শহরে মালামাল আনা নেয়া করতো এই ভারানি খালকে ব্যবহার করে।
খালের দুপারের খাস জমির উপর নজর পড়ে দখলবাজদের। অনেকেই খাল দখল করে গড়ে তোলে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অস্তিত্ব সংকটে পড়ে ভাড়ানী খাল।
খালটি পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়ায় সরকারকে সাধুবাদ জানায় সচেতন নাগরিক মহল।
ভারানি খালটি আবার নব যৌবন ফিরে পাবে এরকম স্বপ্ন এলাকার মানুষেমানুষের । আবার চলাচল করবে নৌকা-ট্রলারসহ বিভিন্ন যানবাহন। হাট বাজারে গমন, মালামাল পরিবহন করে থাকে বরগুনা সদর হতে পঁচা কোড়ালিয়া, বগি, কড়ইবাড়িয়া এবং তালতলীসহ গুরুত্বপূর্ণ জনপদের মানুষ।
ব্রিজের নিচের মাটি কাটায় যে কোন মুহূর্তে দেবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
বরগুনা-গোলবুনিয়া প্রায় ১০কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে এগারোটি ব্রিজ! এ ব্রিজগুলো সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্রিজগুলো এত নিচু করা হয়েছিল যে ব্রিজের নিচ দিয়ে জোয়ারের সময় ছোট-বড় কোন নৌকা ও ট্রলার যাতায়াত করা সম্ভব ছিল না ।
ভাড়ানি খালকে সচল করতে হলে পুরাতন ব্রিজগুলো ভেঙে পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা জরুরি।
বীজগুলো পুনঃ নির্মাণ করে খালটি নৌ চলাচল উপযোগী করতে পারলে প্রাণ খুঁজে পাবে ঐতিহ্যবাহী ভাড়ানি খাল।
যে কোন কিছুর বিনিময়েই হোক না কেন ভারানি খালের প্রাণ ফিরিয়ে আনা এখন দক্ষিনায়নের জনগনের দাবী।