Doinik Bangla Khobor

চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতিকারীর হাতে রবি টাওয়ারের নিরাপত্তা প্রহরী খুন

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মো: আবুল হাশেম (৬৫) নামে রবি আজিয়াটা টাওয়ারের এক নিরাপত্তা প্রহরীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.টি.এম আক্তার উজ জামান।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, শনিবার ভোরে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার ফালগুনকরায় অবস্থিত রবি আজিয়াটা টাওয়ারে দায়িত্বরত একজন নিরাপত্তা প্রহরীর লাশ হাত-পা ও মুখে গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশটি দেখতে পাই। স্থানীয়ভাবে নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম আবুল হাশেম বলে জানতে পারি। তাকে কে বা কারা হত্যা করেছে, স্থানীয়রা কেউ কিছু বলতে পারছে না। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার দিবাগত রাতের যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা করেছে। তার পরিচয় শনাক্তের জন্য পুলিশের বিশেষ ইউনিট সিআইডি ও পিবিআইকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে এসে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মৃত ব্যক্তির পূর্ণ ঠিকানা শনাক্ত করবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিরাপত্তা প্রহরী আবুল হাশেম দীর্ঘ ২০ বছর ধরে রবি টাওয়ারটিতে কর্মরত রয়েছেন। এরই সুবাদে আশে-পাশের বাসিন্দাদের সাথে তার একটা সু-সম্পর্ক হয়ে যায়। তিনি এখানের ভোটার বলেও স্থানীয়রা জানান। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় বলেও জানা যায়। তবে ঘটনার আগেই তারই সহকর্মী সফিউল্লাহ ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন।

সিকিউরিটি কোম্পানীর এন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি সার্ভিসের সুপার ভাইজর মো: আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত আবুল হাশেম ছাড়াও হাফেজ সফিউল্লাহ নামে অপর এক ব্যক্তি সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে ফালগুনকরা রবি টাওয়ারে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সফিউল্লাহ ঘটনার দিন ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।

চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.টি.এম আক্তার উজ জামান বলেন, ‘রবির সিকিউরিটি আবুল হাশেমকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আবুল হাশেমকে হত্যা করা হলেও টাওয়ারের কোন মালামাল লুট হওয়ার আলামত পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে এসে ইতিমধ্যেই সিআইডি ও পিবিআই কাজ করছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন সহ দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।