Doinik Bangla Khobor

জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি,কাউন্সিলর আবুল হাসান

মামুন মজুমদার :
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আবুল হাসান দায়িত্বগ্রহণের ৪ বছর ৪ মাস ২৭দিন পূর্তি হচ্ছে ৩ অক্টোবর। এই ৪ বছরে নগরীর(রায়পুর,সাওড়াতুলী,মাটিয়ারা পূর্ব-পশ্চিম,পাঠানকোট,উলুরচর,নোয়াগ্রাম,লক্ষীপুর,কমলাপুর এবং ধনাইতরী উত্তর-দক্ষিণ ) বিভিন্ন উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে।প্রশস্ত সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন,আলো সজ্জিত ঝলমলে রাস্তা ওয়ার্ডবাসীর নজর কেড়েছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালেও থেমে নেই উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। করোনা সংক্রমণ মোকাবেলা ও গরীব অসহায় মানুষের পাশে থাকার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কাউন্সিলর।

২০১৭ সালে ৩০মার্চ কুসিক নির্বাচনে (ট্রাক্টর প্রতীক) প্রার্থী হন ২৭নং ওয়ার্ড রায়পুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক আনু মিয়ার সন্তান মোঃ আবুল হাসান। নির্বাচনে জনগণের বিপুল ভোটে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ৭মে শপথ বাক্য পাঠ করেন।

দায়িত্ব নিয়েই তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও ২৭নং ওয়ার্ডকে একটি পরিচ্ছন্ন, উন্নত ও বাসযোগ্য স্বপ্নের ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেন। শুরুতেই ওয়ার্ডে শৃঙ্খলা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং মন দেন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও সবুজায়নের দিকে। গৃহিত পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে গেলে সমাজের বিভিন্ন ‘সম্মাননা’ অর্জন করেন।

ওয়ার্ডের উন্নয়ন সম্পর্কে আবুল হাসান বলেন, আমি ওয়ার্ডের সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রেখেছি।সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি এলাকার রাস্তা কোনটি কার্পেটিং,আরসিসি আবার কোনটি সিসি ঢালাই সহ কালভার্ট ও রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ করেছি।কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের সুয়াগাজি স্বাদ হোটেল থেকে চৌয়ারা সুইজ গেইট,চৌয়ারা বড় মসজিদের সামনে থেকে লইপুরা সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিন আঞ্চলিক কার্যালয় এবং মাটিয়ারা উত্তর পাড়া থেকে চৌয়ারা গরু বাজার হয়ে রায়পুর ব্র্যাক অফিস
পর্যন্ত এলইডি লাইটিং স্থাপন করা হয়েছে।
মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা এবং করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত সহ করোনাকালীন প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে ১০বার খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে অক্সিজেন বিতরন করা হয়েছে।প্রত্যেক ঈদে গরীব দুঃখী মানুষকে সেমাই,চিনি,চাল,ডাল দিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছি এমনকি ওয়ার্ডের গরীব ছেলে মেয়েদের বিয়েতে আর্থিকভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছি।

তিনি বলেন, মাটিয়ারা আরএফএলের সামনের মসজিদ,মাটিয়ারা পূর্ব ও পশ্চিম পাড়া মসজিদ,পাঠানকোট পূর্ব ও পশ্চিম পাড়া মসজিদ,উলুরচর সিটি মসজিদ,উলুরচর নোয়াবাড়ী মসজিদ,চৌয়ারা বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ,রায়পুর কেন্দ্রীয় মসজিদ সহ
বিভিন্ন মাদরাসা- কবরস্থান এমনকি ওয়ার্ডের ৪টি মন্দিরে ও অনুদান দেয়া হয়েছে।

এদিকে,ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার ও কাদামাটি উত্তোলন করেছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যথাযথভাবে পালন করেছি।

তিনি আরোও বলেন,চৌয়ারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও গার্লস স্কুলে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে তার পাশাপাশি অন্যান্যা এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ওয়ার্ডের ৩১৬ জন বয়স্ক ভাতা,১০০জন মাতৃকালীন ভাতা,১৩৪জন প্রতিবন্ধী ভাতা,৫২জন বিধবা ভাতা সহ শতাধিক ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তি পাচ্ছে।

এছাড়াও ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা, কালভার্ট ও রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ সহ বিভিন্ন সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।