তামান্না আক্তার :
চলো আধার করি দূর, সামনে আলোর ভোর, আলোকিত সমাজ গড়ার অঙ্গিকার এই আমাদের সকলের অঙ্গিকার। গত ২১ জানুয়ারী জীবনতরী পাঠশালা কর্তৃক আয়োজিত অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়,
শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে অভিভাবক সমাবেশ এর মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে জীবনতরী পাঠশালার ফ্রি পাঠদান কেন্দ্রে অভিভাবক সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়।
উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জীবনতরী পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ অপিজার রহমান, সহ-সভাপতি, মোঃ আমিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক-মোঃ সবুজ ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক— সুমন ইসলাম(ভারপ্রাপ্ত), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক— আল-আমিন ইসলাম (স্বপন) প্রচার সম্পাদক—জিকরুল ইসলাম, সিনিয়র সদস্য— আরিফুজ্জামান বাবু, হাসিবুল ইসলাম, সেলিম ইসলাম।
আলোকিত সমাজ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে কাজ করে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “জীবনতরী পাঠশালা” গ্রামের পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েদের বিনামূল্যে পাঠদান দিয়ে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে। এতে করে দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে লেখাপড়া শিখতেছে আনন্দে।
শিশুর প্রতিনিয়ত শেখে। কারণ জীবন ধারনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, নিজের চেষ্টায় এবং অন্যের সহযোগিতায় শিশুকে সবকিছু ক্রমে ক্রমে রপ্ত করতে হয়। আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় সম্পৃক্ত হওয়ার আগে শিশুবোধক বিভিন্ন পরিচিত বিষয়ের জীবজন্তু, পশুপাখি, ফুল, ফল, জামা, জুতা, খেলনা, মজাদার খাবারদাবার, নৌকা-গাড়ি, বইখাতা, রং-তুলি নানাবিধ জিনিসপত্রের ছবির সঙ্গে পরিচিত হওয়া, সর্বোপরি পড়ে শুনানো এবং বর্ণের সঙ্গে পরিচিত হওয়া জরুরি। এই বর্ণ পরিচিতির মধ্য দিয়ে শিশু পড়ার অভ্যাস রপ্ত করে। এই অভ্যাস থেকেই গড়ে ওঠে পঠন অভ্যাস। সেই অভ্যাস থেকেই ধীরে ধীরে পঠন দক্ষতা বাড়ে এবং এই দক্ষতাই শিশুকে পড়ার প্রতি আকৃষ্ট করে, জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে। শিশুর চাহিদা, আগ্রহ ও সামর্থ্যের কথা বিবেচনা করে তাদের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে যে শিক্ষার আয়োজন করা হয়, তাই শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা। এ ধরনের শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীরা যাতে হাতে-কলমে কাজের মাধ্যমে সহজে ও আনন্দচিত্তে শিক্ষার বিষয়বস্তু আয়ত্ব করতে পারে। অভিভাবকরাও তাদের মতামত পেশ করেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ব্যপারে নিয়মিত বিদ্যালয়ে খোঁজখবর নেওয়ার আশ্বাস দেন। সর্বপরি প্রত্যেকটি শিশুকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গিকারবদ্ধ হয়