ডেস্ক রিপোর্ট :
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দামি মোবাইল, সোনার গয়না থেকে নগদ টাকা সবই নিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিয়ে না করে উধাও হয়েছেন। এমনই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের দেবাশিস প্রামাণিক। প্রেমিকার পাশাপাশি তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধেও প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেবাশিস হলদিয়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। তার প্রেমিকা রাজ্যের তমলুক এলাকার বাসিন্দা। এক সহকর্মীর মাধ্যমে তার সঙ্গে দেবাশিসের পরিচয় হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তরুণী নিজেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মী পরিচয় দিয়েছিলেন। দেবাশিসের অভিযোগ, ২০১৩ সালে প্রেমিকার আবদারে তাকে একটি দামি মোবাইল কিনে দেন। পূজার সময় দামি পোশাকও কিনে দিয়েছিলেন।
দেবাশিস জানান, প্রেমিকার বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। তার বাবা-মায়ের সঙ্গেও সুসম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রস্তাব নাকি প্রেমিকার মা-বাবাই দিয়েছিলেন। এদিকে, প্রেমিকার দাবি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছিল। সেই বায়না মিটিয়ে তাকে সোনার হার ও গয়নাও দেন দেবাশিস। পরে আবার ফ্রিজের দাবি জানানো হয়। ধার-দেনা করে সব চাহিদা এতদিন ধরে মিটিয়েছেন বলে দাবি ওই যুবকের।
দেবাশিসের ভাষ্য, গত ৫ জানুয়ারি তার দিদির বাড়িতে গিয়ে আইবুড়ো ভাতও খেয়েছেন প্রেমিকা। পরের দিনই বিয়ের জন্য ৮০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিলেন। সেই টাকা পরে শোধ করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রেমিকার বাড়ি কিছু কথা বলতে গিয়েছিলেন দেবাশিস। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন, বাড়িতে বাইরে থেকে তালা দেওয়া। তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড়ে জেলা পরিষদ চত্বরে তাদের একটি দোকানও আছে। যার শাটার নামানো।
দেবাশিসের আক্ষেপ, গত ১০ বছর ধরে প্রেমিকার চাহিদা মেটাতে গিয়ে তিনি ঋণে জর্জরিত হয়ে গেছেন। তার সঙ্গে প্রতারণা করার জন্যই প্রেমের ফাঁদ পাতা হয়েছিল। প্রথমে স্থানীয় সুতাহাটা থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন দেবাশিস। কিন্তু তখন তার অভিযোগ নেওয়া হয়নি। পরে হলদিয়ার আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে সুতাহাটা থানার পুলিশ অভিযোগ নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রতারণাসহ মোট চারটি ধারায় মামলা হয়েছে।